1. bpdemon@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
  2. ratulmizan085@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে রাস্তার বিলের জন্য নারী সদস্যকে ইউপি চেয়ারম্যানের হুমকি
বাংলাদেশ । সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে রাস্তার বিলের জন্য নারী সদস্যকে ইউপি চেয়ারম্যানের হুমকি

মোঃ সাইফুল ইসলাম তানভীর :
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৩৮৫ বার পড়েছে
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে রাস্তার বিলের জন্য নারী সদস্যকে ইউপি চেয়ারম্যানের হুমকি

রাস্তার কাজের বিল না দিয়ে সংরক্ষিত মহিলা সদস্যকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিঠুর বিরুদ্ধে।ভুক্তভোগী ওই মহিলার নাম আছিয়া খাতুন এবং ওই ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য।

জানা যায় গত ২০১৯-২০ অর্থ বছরের স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর ১ শতাংস খাতের আওতায় মাহাকি পাড়া গ্রামরে মসজদি হতে চেয়ারম্যান বাড়ি হয়ে নলবলি এবং দক্ষিন জামশা সরকার নিবাস হতে জামশা ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট ও প্যালাসাইডিং কাজের সভাপতি হিসেবে মহিলা সদস্য আসিয়া খাতুনকে দায়িত্ব দেয় ইউপি চেয়ারম্যান।

দায়িত্ব পেয়ে ওই রাস্তায় মাটি ভরাট ও ১১ টি প্যালাসাইডিং নির্মাণ করেন আছিয়া খাতুন।কাজ চলাকালীন সময় প্রকল্প সভাপতি আছিয়া খাতুনকে চার লাখ টাকা দেন ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিঠু।এ টাকা থেকে সরকারী ভ্যাট ১৯ হাজার এবং বিবিধ খরচ বাবদ ৫৫ হাজার টাকা নয়িে নেন চেয়ারম্যান।

এরপর সম্পূর্ণ কাজ শেষে বিলের অবশিষ্ট টাকা চাইলে চেয়ারম্যান তালবাহানা শুর করেন।এতে কোন উপায় না পেয়ে ওই মহিলা সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তরে দায়িত্ব প্রাপ্ত উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তদন্ত শেষে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন,ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিঠুর নির্দেশনায় মহিলা মেম্বার আসিয়া খাতুন ১১শত ১৩ মিটার দৈর্ঘ্য রাস্তায় বাশেঁর প্যালাসাইডিংসহ রাস্তার দুই পাশে ভরাট করেছে।

এছাড়াও অতিরিক্ত ৫৭ গাড়ি মাটি ও ১৪ গাড়ী ইটের খোয়া ফেলেছে।ওই রাস্তার ৩৬০ মিটার কাজের বিল বাবদ দুই লাখ টাকা এবং ৫২.৭২ মিটার বাশেঁর বেড়া ও বস্তার চেগার নির্মাণ বাবদ ২লক্ষ টাকাসহ মোট চার লক্ষ টাকা দেয়া হয়েছে প্রকল্প সভাপতি আসিয়া খাতুনকে।বাকি ৭৫৩ মিটার রাস্তার কাজের বিল বকেয়া রয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন ওই কর্মকর্তা।

এ প্রসঙ্গে মহিলা সদস্য আসিয়া খাতুন বলেন,চেয়ারম্যান অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে আমাকে জোর করে ওই রাস্তার সভাপতি করে কাজ করার দায়িত্ব দেন।আমি সহজ সরল মনে মেয়ের নিকট থেকে টাকা ধার করে রাস্তরে কাজ শেষ করেছি।যাদের নিকট থেকে বালি ও মাটি কিনছি সময় মত তাদের বিল দিতে না পারায় লাঞ্চিত হইছি।কাজ চলাকালীন সময় চেয়ারম্যান আমাকে ৪লক্ষ টাকা দিয়েছে।

এছাড়াও অন্যান্য সময়ে এ পর্যন্ত আমি ১৬লক্ষ টাকার কাজের মধ্যে সর্বমোট ৮লক্ষ টাকা পেয়েছি।এরপর বিলের অবশিষ্ট টাকা চাওয়ায় চেয়ারম্যান আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।রাস্তার কাজের বিল তো দিচ্ছেই না এমনকি এক বছর যাবত আমাকে পরিষদের কোন সুযোগ সুবিধাও দিচ্ছে না।আমি পর্যায়ক্রমে নির্বাচিত হয়ে ২৫ বছর যাবত এই ইউনিয়ন পরিষদে সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি।সেই আমাকেই পরিষদে ডুকতে বাঁধা দেয়া হচ্ছে।

এব্যাপারে জামশা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিঠু বলেন,মহিলা সদস্য যতটুকু রাস্তার কাজ করেছে ওই পরিমানে তার বিল পরিশোধ করা হয়েছে।উনি আমার বিরদ্ধে ইউএনওর কাছে অভিযোগ করেছিল।তারপর তাকে আট লাখ টাকা দিয়েছি।ওই মহিলা মেম্বার একটা বাটপার,সে মেম্বারির কিছুই বুঝে না।বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ভাতার নামে টাকা নেন।আমি তাকে পরিষদে আসতেও নিষেধ করিনি।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুনা লায়লা বলেন,মহিলা মেম্বার লিখিত অভিযোগ করেছিল।সে অনুযায়ী তদন্তও হয়েছে। যেহেতেু কাজ শেষ হয়ছেে অনেক দিন আগে তাই দৃশ্যমান কাজের শতভাগ পর্যবক্ষেণ সম্ভব হয়নি।সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে আরও অধিকতর তদন্ত করতে হবে।মহিলা মেম্বার সবটুকু কাজ করে নাই।তাই পুরোপুরি বিল সে পাবে না বলে তাকে জানান চেয়ারম্যান।কিন্তু মহিলা মেম্বারের দাবী তিনি ১৬ লাখ টাকার কাজ করেছে।এ বিষয়ে পুনরায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
প্রকাশক কর্তৃক জেম প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, ৩৭৪/৩ ঝাউতলা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Hi-Tech IT BD