ছাত্র রাজনীতিতে তিনি ছিলেন সিংগাইর ডিগ্রী কলেজ ছাত্র সংসদের ছাত্রদল প্যানেলের নাট্য বিষয়ক সম্পাদক।পরে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে গত ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগে যোগদান করে এক লাফে ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভপতি হন।এবার তিনি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হয়ে আলোচনায় এসেছেন মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চারিগ্রাম ইউনিয়নে দেওয়ান মোঃ রিপন।তিনি ওই ইউনিয়নের দাশের হাটি গ্রামের মোঃ মোন্নাফ দেওয়ানের পুত্র।
জানা গেছে,গত ৪ অক্টোবর উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয় থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন দেওয়ান মোঃ রিপন।ওই দিন বিকেলে আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় মোঃ রিপনের প্রার্থীতা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।আপত্তি তুলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ওহাব আলী পোদ্দার ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বিল্টু।তারপরেও তিনি কতিপয় দায়িত্বশীল আওয়ামীলীগ নেতার আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) ঢাকার ধানমন্ডি দলীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করে জমা দেন।
এর আগে রিপন দেওয়ান আওয়ামীলীগ প্রার্থী হিসেবে পোস্টার ফেস্টুন লাগিয়ে প্রার্থীতা জানান দেন।২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনের আগে দলীয় মনোনয়ন পেতে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান,বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া,তারেক রহমান ও প্রয়াত মন্ত্রী এবং এমপি শামসুল ইসলাম খান নয়ামিয়া ও তার পুত্র মঈনুল ইসলাম খান শান্তর ছবি সম্বলিত পোস্টার,ফেস্টুন লাগিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে ভোটারদের দোয়া চেয়েছেন।
বিএনপির দলীয় মনোনয়নে ব্যর্থ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে চারিগ্রাম ইউনিয়নে ঘোড়া মাকার্য় নির্বাচন করেন।সে নির্বাচনে পরাজিত হয়ে দলের খোলস পাল্টিয়ে যুবলীগে যোগদান করে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হন।এবার তার আওয়ামীলীগের প্রার্থীতা নিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড়।এ ইউনিয়নে রিপন ছাড়াও অ্যাডভোকেট রকিব-উল হাসান আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন।
চারিগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ওহাব আলী পোদ্দার বলেন,দেওয়ান মোঃ রিপন একজন নব্য আওয়ামীলীগ নেতা।উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় এ বিষয়টি আমি দায়িত্বশীল নেতাদের সামনে বলেছি।ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে আমার দাবী একজন প্রকৃত আওয়ামীলীগ নেতাকে মনোনয়ন দেয়া হোক।
এ প্রসঙ্গে দেওয়ান মোঃ রিপন বলেন,আমাদের চারিগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপি অধ্যুষিত এলাকা।এখানে এক সময় সবাই বিএনপি করতো,আমিও বিএনপি করতাম।আরেকজন প্রার্থী আছেন সেও বিএনপি করতেন।এখন এমপি যাকে দেন সেই প্রার্থী হবেন।
সিংগাইর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদুর রহমান শহিদ বলেন,রিপন দেওয়ান নব্য আওয়ামীলীগ এটা সত্য।তাকে দলে এনে আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাজেদ খান পদ দিয়েছেন।বিষয়টি তিনিই ভাল জানেন।এ ব্যাপারে আব্দুল মাজেদ খানের সাথে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা তিনি ফোন রিসিভ করেননি।