হবিগঞ্জের পুরো জেলায় ২৫৩টি আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন ২০ হাজার ৪৬৩ জন। এদের ৭ হাজার ৭৪৯ জন পুরুষ, ৭ হাজার ৫৪৮ জন নারী, ৪ হাজার ৯৬৬ জন শিশু ও ২০০ জন প্রতিবন্ধি। সরকারি হিসেবে পানিবন্দী অবস্থায় জীবন যাপন করছে ২৩ হাজার ৫৩৫টি পরিবার এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোক সংখ্যা ৮০ হাজার ৩২০ জন।
নদীগুলো থেকে লোকালয়ে পানির প্রবেশ কমেছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ উন্নতি ঘটলেও জেলার সাত উপজেলায় ৫১টি ইউনিয়নের লাখো মানুষ এখনও পানিবন্ধি অবস্থায় জীবন যাপন করছেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আজমিরীগঞ্জে ১টি পৌরসভা ও ৫টি ইউনিয়ন, নবীগঞ্জে ১২, বানিয়াচংয়ে ১৫, লাখাইয়ে ৬, হবিগঞ্জ সদরে ৬, মাধবপুরে ৫ এবং বাহুবল উপজেলার ১টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন বন্যা কবলিতদের জন্য ১০ লাখ টাকা, ২২৫ মেট্রিক টন চাল এবং ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ করেছে। মাঠে কাজ করছে ৩০টি মেডিক্যাল টিম।
পানিতে ১৬ হাজার ৩৬৮ হেক্টর আউশ, ১৪ হাজার ৬৬০ হেক্টর বোনা আমন, ১ হাজার ৯১৫ হেক্টর জমির সবজিএবং ৫০ হেক্টর অন্যান্য ফসলের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলেছে, বৃহস্পতিবার কুশিয়ারা নদীর পানি ৮.২০ মিটারে ছিল। লোকালয়ে প্রবেশ করায় নদীর পানি কমছে। বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ উন্নতি ঘটছে।