চুনারুঘাট উপজেলার পাঁচগাতিয়া গ্রামের আঃ হককে হাত-পা বেঁধে পায়ুপথে খুটা ঢুকানোর ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো, চুনারুঘাট উপজেলার বারইউরা গ্রামের আদই মিয়ার পুত্র জাকির আহমেদ এমরান (২৪) পাঁচগাতিয়া গ্রামের আঃ রশিদের পুত্র জুয়েল মিয়া (২৫), তারাসুল গ্রামের বাচ্চু মিয়ার পুত্র পিয়াস মিয়া (২১), বাগুলা গ্রামের রাহিম তালুকদারের পুত্র পারভেজ তালুকদার (১৮)। এদিকে গ্রেফতারকৃত পিয়াস গতকাল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আঃ হকের বড় ভাই শামসুল হকের দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়। চুনারুঘাট থানার ওসি মোঃ আলী আশরাফের নেতৃত্বে এক বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
শামসুল হক জানান, হাসপাতালে আঃ হকের জ্ঞান ফিরার পর তার দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চুনারুঘাট থানায় মামলা করেন তিনি। আঃ হক তাকে বলেছেন, গত শুক্রবার রাত ১টায় সেচের কাজে মাঠে গেলে তাকে পিছন থেকে গলায় রশি পেঁচিয়ে ধরে আঃ রহিম এবং তার গলায় ইনজেকশন পুশ করা হয়। ঘটনায় সময় ৭ জনকে দেখতে পেলেও তিনি ৫ জনকে চিনতে পারেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। আঃ হক বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চুনারুঘাট থানার ওসি মোঃ আলী আশরাফ বলেন, আঃ হকের জ্ঞান ফেরার পর দেওয়া বক্তব্য ও তার ভাই শামসুল হকের দায়ের করা মামলায় তাদেরকে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে চুনারুঘাট থানায় মামলা রুজু (মামলা নং ২০) করে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।