হবিগঞ্জ শহরের মহনপুর আবাসিক এলাকায় পঙ্গু দুদু মিয়ার পরিবারের,উপর অমানুষিক নির্যাতন ও বৃদ্ধ মা মেয়েকে জোরপূর্বক বাসা থেকে বাহির করে দখলের অভিযোগ উটেছে।জানা যায়,মহনপুর এলাকার পঙ্গু দুুদু মিয়ার সন্তান,অলিউডর রহমান রানা,পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী।
সে হবিগঞ্জ শহরের খাঁজা গার্ডেনের একটি দোকানে দীর্ঘদিন যাবত টেলিকম ব্যবসা পরিচালনা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল,কিন্তু মহামারী করোনার লকডাউনে ব্যবসাটি বন্ধ হওয়ার কারনে পরিবারের সদস্যদের হাল ধরেতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে,এতে করে পাওনাদার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে যায়।
এতে নীরুপায় হয়ে ঋণমুক্ত হওয়ার জন্য তাদের শেষ সম্বল জাগয়াসহ বাসাটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিলে,দুদু মিয়ার স্ত্রীর সৎ ভাই এককই এলাকার আঃ আওয়াল তার বোনের জামাই প্রবাসী মুমিন ভুইয়ার জন্য বাসাটি ক্ষয় করার জন্য দরদাম করে ২২ লক্ষ টাকায় নির্ধারণ করে।
৩ লক্ষ টাকা দিয়ে মোখিকভাবে বায়না করা হয় এবং বাকি ১৯ লক্ষ টাকা রেজিস্ট্রারীর পর দেওয়া হওয়ার কথা থাকায়, গত ১৮ ই আগস্ট হবিগঞ্জ সাবরেজিস্টার অফিসে রেজিস্ট্রারী করে দেওয়ার সময় পঙ্গু দুদু মিয়ার পরিবার টাকা দাবি করিলে, আঃ আওয়াল ও তার বোন জামাই মুমিন বলে রেজিস্ট্রারী করার পর বাসায় গিয়ে টাকা দিয়ে দিবে বলে আশ্বস্ত করার, তারা বিশ্বাস করে দলিলে সাক্ষর দিয়ে বাসায় চলে আসে দুদু মিয়ার পরিবার।
তারপর থেকে মুমিন ভুইয়া ও আঃ আওয়ালের কাছে টাকার জন্য চাপ দিলে তারা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সময় অতিবাহিত করতে থাকে এক পর্যায়ে পঙ্গু দুদু মিয়ার স্ত্রী আছিয়া খাতুন তার সৎ ভাই আঃ আওয়াল ও সৎ বোন জামাই মুমিন ভুইয়ার কাছে টাকার জন্য বারবার তাগিদ দিয়ে ব্যর্থ হয়ে এলাকার বেশ কয়েকজন মুরুব্বিদের স্বরনাপন্ন হয়,এতে কোন সমাধান না পেয়ে, সাবরেজিস্টার অফিসারের বরাবরে রেজিস্ট্রারী দলিলটি বাতিল করার জন্য একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
এ সংবাদ শুনে আঃ আওয়াল ও মুমিন ভুইয়া গং ক্ষিপ্ত হয়ে, গত ৬ই নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যার দিকে পঙ্গু দুদু মিয়ার পরিবারের উপর হামলা চালায় এতে হামলাকারী’রা দুদু মিয়ার স্ত্রী আছিয়া খাতুন, ও তার মেয়ে আফিয়া ও ছোট মেয়ে আফসানা আক্তার রিয়া ও নাতি শিশু ইমন মিয়াকে মারপিট করে বাসা থেকে বাহির করে দিয়ে,আসবাবপত্র সহ নষ্ট করে দিয়ে দরজায় একটি তালা জুলিয়ে রাখে। পরবর্তীতে রাতে অসহায় পরিবার, হবিগঞ্জ সদর থানায় পঙ্গু দুদু মিয়া লিখিত অভিযোগ দিলে সদর থানার, তদন্ত ওসি দোস মোহাম্মদ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতিত পরিবারকে তাদের বাসায় থাকার ব্যবস্হা করে দেন।
এ বিষয়ে আছিয়া খাতুনের ছেলে অলিউডর রহমান রানা আমাদেরকে জানান,আঃ আওয়াল তাদের সৎ মামা হওয়ার সুবাদে আমরা বিশ্বাস করে তারা রেজিস্ট্রারী দলিল করে দিয়ে দেই, কিন্তু পরবর্তীতে তারা দলিলে দেখতে পারি আমার জীবিত বাবাকে মৃতৃ দেখিয়ে, ২২ লক্ষ টাকার বাসাটি তারা ৩লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা মুল্যে খরিদ দেখিলে দলিল করা ও আমাদের পাওনা টাকা না দিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে,এতে আরও সন্দেহ বেড়ে যায়। তাই আইনের আশ্রয় নেন এবং প্রশাসন হস্তক্ষেপ কামনা করেন।