মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের হাতনি- চাপরাইল সংযোগস্থলে প্রায় দু’কিলোমিটার রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থায় অসহায় হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগী প্রায় অর্ধ লাখ লোক। প্রায় দু’যুগ আগের তৈরী এ ব্রিজ ও রাস্তাটি বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হলেও দেখার যেন কেউ নেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চাপড়াইল, হাতনি, ধাইরাপারা ও জামির্ত্তা এলাকার লোকজন ইউনিয়ন পরিষদে এবং পাশ্ববর্তী জয়মন্টপ ইউনিয়ন হয়ে উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা এটি। এছাড়া চাপড়াইল গ্রামের মজির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও শামসুন্নাহার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসারও একমাত্র মাধ্যম এই সড়ক। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি মেরামত এবং ফুট ব্রিজটি পুনঃনির্মাণ না হওয়ায় বর্তমানে এটি পরিত্যক্ত রাস্তায় পরিনত হয়েছে।
জনা যায়, ১৯৯৮ সালের দিকে চাপড়াইল গ্রামের অধিবাসী ইঞ্জি. নাসির উদ্দিন আহম্মেদ কাজল মিয়া নিজস্ব জমিতে নিজ অর্থায়নে ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি হাইস্কুল ও ১টি খেলার মাঠ নির্মাণ করেন। এছাড়াও তৎকাকালীন সময়ে এলাকার মানু্ষরে যাতায়াতের সুবিধার জন্য জয়মন্টপ হতে খানবানিয়ারা ও চাপড়াইল হয়ে হাতনি পর্যন্ত রাস্তাটিতে ইটের সলিং করা হয় এবং ১টি ফুট ব্রীজ নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে জয়মন্টপ হতে চাপড়াইল পর্যন্ত রাস্তাটি কার্পেটিং হলেও বাকি অংশে আজ পর্যন্ত আর কোন মেরামত কাজ হয়নি। এ রাস্তায় যে ফুট ব্রীজটি রয়েছে তা এতটাই সরু যে সেটি দিয়ে শুধুমাত্র ভ্যান-রিক্সা চলাচল করতে পারেলেও এর চাইতে প্রশস্ত কোন যানবাহন চলাচল করতে পারেনা। তাছাড়া ব্রিজটির দু’পাশের রেলিং ভেঙ্গে এবং গোড়ার মাটি সরে যাওয়ায় সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ সাধারণ জনগণ অত্যান্ত কষ্ট করে শুধু পায়ে হেঁটে এই রাস্তায় চলাচল করছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, আমরা কাগজ কলমে নামে মাত্র জামির্ত্তা ইউনিয়নের অধিবাসী হলেও সংযোগ সড়ক ও ফুট ব্রিজটির বেহাল দশার কারনে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরত্বে জয়মন্টপ গিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্েযর বাজার করতে হয়। এছাড়াও চরম দূর্ভোগের মধ্য দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সেবা গ্রহণের জন্য জনগণকে এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। এই সড়ক ও ফুট ব্রিজটি মেরামত ও পুনঃনির্মাণের জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করেও কোন ফল পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রৌকশলী রুবাইয়েত জামান জানান, ইটের সলিং রাস্তাসহ ব্রিজটি পুনঃমেরামতের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। লোকজনের ভোগান্তি কমাতে খুব তাড়াতাড়ি আনুসঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করে কাজ শুরু করা হবে বলেও তিনি জানান।