ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১নভেম্বর ২০২১,২য় ধাপের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় বইছে নির্বাচনী আমেজ।এ উপলক্ষে গত (৪ অক্টোবর ) ১১টি ইউনিয়নের দলীয় সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়ন ফরমও বিতরণ করা হয়েছে যার সংখ্যা দড়িয়েছে ৪৬টি।এর মধ্যে ধল্লা- ৩,জয়মন্টপ-৩,সায়েস্তা-৪, জামশা-৮,বলধারা-৫,জামির্ত্তা-৩,চান্দহরন-৫,চারিগ্রাম-২,তালেবপুর-৬,বায়রা-৪ এবং সিংগাইর সদর-৩।
উল্লেখ্য মনোনয়ন জমা দানের তারিখ ১৭ অক্টোবর,বাছাই ২০ অক্টোবর,আপিল ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর,আপিল নিষ্পত্তি ২৪ ও ২৫ অক্টোবর,প্রত্যাহার ২৬ অক্টোবর,প্রতীক বরাদ্দ ২৭ অক্টোবর এবং নির্বাচন ১১ নভেম্বর।উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা মাঠে নেমেছেন জোরেশোরে।দলীয় সমর্থন পেতে চালাচ্ছেন জোর লবিং।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদেই রয়েছে বিএনপি-আওয়ামী লীগের একাধিক সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী।বর্তমান চেয়ারম্যান-মেম্বারের পাশাপাশি সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে অনেক নতুনদের।সিংগাইরে ইউপি নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তোড়জোড় চোখে পড়ার মতো হলেও বিএনপির প্রার্থীদের তেমন মাঠে দেখা যাচ্ছেনা।
বর্তমানে উভয় দলে একাধিক প্রার্থী থাকলেও মনোনয়ন চুড়ান্ত হওয়ার পর অনেকেই শেষ পর্যন্ত প্রার্থী থাকবেন না বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।সরেজমিনে দেখা গেছে,সম্ভাব্য প্রার্থীরা বর্তমানে এলাকার বিভিন্ন ধর্মীয়,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে ভোটারদের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছেন।এলাকায় নানা অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগত দান-অনুদান দিয়ে নতুনরা হচ্ছেন পরিচিত।অনেক সম্ভাব্য প্রার্থী আবার ভিন্ন কৌশলে নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন।
প্রতিটি নির্বাচনী এলাকাতেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা দোয়া চেয়ে অথবা শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টার,ব্যানার টাঙিয়েছেন।প্রচারণার ক্ষেত্রে পুরাতনদের চেয়ে এগিয়ে নতুনরা।পাড়া-মহল্লা আর চায়ের দোকানগুলোতেও এখন আলোচনা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে।নির্বাচনে কারা প্রার্থী হচ্ছেন,কার ভোট ব্যাংক কোথায়,কে দলীয় মনোনয়ন পেলে ভাল করবে হিসাব নিকাশ চলছে এসব নিয়ে।
এদিকে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীক ও মনোনয়নে নির্বাচন হওয়ায় বিপাকে অনেক সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন না পেলেও ব্যক্তিগত ইমেজ কাজে লাগিয়ে অনেকেরই স্ব-তন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার সম্ভাবনা রয়েছেন।অনেক ইউনিয়নেই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক নিজেরাই এবার নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী।
নিজেদের মতো করে তারা প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি দলীয় ঊর্ধ্বতন নেতাদের সঙ্গে লবিং চালাচ্ছেন দলীয় মনোনয়নের জন্য। এক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ কোন্দলও মাথাচারা দিয়ে ওঠেছে স্থানীয় পর্যায়ে।এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদেরও তৎপরতা চোখে পড়ার মতো।দুই দলেরই উপজেলার শীর্ষ নেতারা মাঠ পর্যায়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের জনপ্রিয়তার ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
এবিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আব্দুল মাজেদ খান জানান,১১ টি ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।জনপ্রিয়তা যাচাই করেই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাই করা হবে।যাতে তারা নৌকাকে বিজয়ী করতে পারেন।