হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বজ্রপাতে পৃথক স্থানে দুই জনের করুণ মৃত্যুর হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জুন)বানিয়াচং উপজেলার দত্তপাড়া ও একই উপজেলার পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রামে এসব ঘটনা ঘটে। জানা যায়, বানিয়াচং সদরের দত্তপাড়া এলাকার আরকান উল্বার ছেলে রামিম মিয়া (১২) বাড়ীর পাশে হাটাহাটি করছিলেন আচমকা দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ করে বজ্রপাতের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রামিম। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় রামিমকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যওয়া হলে তার প্রচন্ড শ^াসকষ্ট শুরু হয়। এ সময় তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত ডাক্তার। সরকারী এ্যাম্বুলেস না থাকায় বেসরকারী এ্যাম্বুলেসে উঠিয়ে হবিগঞ্জ নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতির সময় সরকারী হাসপাতালের অক্সিজেন রামিমের জন্য চাওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার অক্সিজেন দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন, সরকারী অক্সিজেন বাহিরে দেয়ার নিয়ম নেই বলে অক্সিজেন ছাড়াই রামিমকে হবিগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হবিগঞ্জ হাসপাতালে পৌছার আগেই রাস্তায় রামিম মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। কিশোর রামিমের মৃত্যুর খবর এলাকায় আসলে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণ হয়। স্বজনদের অভিযোগ ঠিকমত অক্সিজেন পেলে হয়তো বেঁচে যেত রামিম। এ বিষয়ে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ইউএইচও ডা. শামীমা আক্তার’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সরকারী নিয়ম অনুযায়ী অক্সিজেন বাহিরে দেয়ার নিয়ম নেই, তবে বিষয়টি মানবিক ছিল। তিনি ইতিপূর্বে বিষয়টি জানেননি বিধায় বিস্তারিত জেনে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলেও জানান। এ দিকে বেলা ২টার দিকে গরু নিয়ে হাওর থেকে বাড়ী ফেরার পথে বজ্রপাতের কবলে পড়ে মারা যান পৈলারকান্দি ইউনিয়নের পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রামের আমির হোসেন তালুকদার এর ছেলে ইসমান তালুকদার (২৬)। এ বিষয়ে বানিয়াচং উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মলয় কুমার দাশ’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যুর বিষটি নিশ্চিত করেন।