হবিগঞ্জের শায়েস্তানগরে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে শহরে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত জেলা ছাত্রদল সদস্য সচিব প্রার্থী সৈয়দ আশরাফ, আহবায়ক প্রার্থী আব্দুল আহাদ তুষার, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রাজীব আহমেদ রিংগনসহ ৫ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজীব ও আশরাফের অবস্থা আশংকাজনক।
পুলিশ শতাধিক রাবার বুলেট, টিয়ার সেল ও শট গানের গুলি নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ কমপক্ষে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতারা। জানা যায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে দুপুর ২টায় বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
দুপুর ১টায় শায়েস্তানগরে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিকে গৌছের নেতৃত্বে জড়ো হয়। অপরদিকে দুপুর একই সময় শায়েস্তানগর ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকায় যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল আসে। এসময় পুলিশ তাদেরকে মিছিল করতে বারন করে।
এ পুলিশ ও নেতাকর্মীদের মাঝে বাকবিতান্ডায় এবং নেতাকর্মীরা টায়ারে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত পুলিশের সাথে নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশ, বিএনপি নেতাকর্মী ও সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়।
এসময় শহরের প্রধান সড়কের শায়েস্তানগর ঈদগাহ থেকে থানার মোড় পর্যন্ত রণক্ষেত্রে পরিনত হয় এবং সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে শহরবাসীর মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, সহকারী পুলিশ সুপার মাফরোজা আক্তার শিমুল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে, হবিগঞ্জ র্যাব-৯ শায়েস্তাগঞ্জ, বিজিবি কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব জি কে গউছ জানান, পুলিশের গুলিতে প্রায় ৫০ নেতাকর্মী আহত হয়। পুলিশ অন্যায়ভাবে তাদের প্রায় ১৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে।