জাতীয় পার্টির সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার এর লাশ পুলিশী প্রহড়ায় মা-বাবার পাশে দাফন করা হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৬টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এসময় পুরো এলাকা জুড়ে বিপুল সংখ্যাক পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। গত শুক্রবার ভোর ৫টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এর প্রিজন ইউনিটে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তিনি মারা যান। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় তার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলে পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যাথারীতি শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় লাশ মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়াস্থ নিজ বাড়িতে ইটাখোলায় পৌছে।
এ সময় সৈয়দ কায়সারকে একনজর দেখার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন বাড়িতে ছুটে আসে। এদিকে পুলিশ রাতেই লাশ দাফন করতে স্বজনদের অনুরোধ করে। এক পর্যায়ে পুলিশী প্রহড়ায় ভোর সাড়ে ৬টায় জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার পাশে দাফন করা হয়। গতকাল দিনভর কবরস্থান এলাকায় পুলিশ অবস্থান করছিল।
এদিকে শনিবার সকাল ১০টার পর থেকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সাধারণ লোকজনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা জানাযায় অংশ গ্রহনের জন্য এসে জানতে পারেন ভোরেই জানাযা শেষে তাঁকে দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনা শুনে অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন, পরে আগন্তকরা করব জিয়ারত করে চলে যান। স্থানীয়রা জানিয়েছেন জানাযার নামাজের সময় দেয়ার পরও অনেকটা বাধ্য হয়েই ভোর রাতে জানাযা শেষে দাফান করতে হয়েছে সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারকে। সকাল ১০টার পর থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন জানাযায় অংশ গ্রহণ করতে না পারায় তার ছোট ভাই মাধবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ মোঃ শাহজাহান দুঃখ প্রকাশ করেন।
নূরুজ্জামান ফারুকী