সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নৌকা সমর্থকদের অর্তকিত হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ২০জন কর্মী আহত এবং ৩০টি মোটর সাইকেল ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের সবুজপাড়া আক্কেলের ঘাট (আমতলা) এলাকায়। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ আনুমানিক সন্ধ্যার দিকে ওই স্থানে নির্বাচনী প্রচারণাকালে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার আলী ভুট্টু (আনারস) ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরীর (নৌকা) ভাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এফ কবির চৌধুরী ও তার সমর্থকগন। এ সময় তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৩০টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করেছে ও অন্তত ২০জন কর্মী সমর্থককে আহত করেছে।
১ জানুয়ারী ২০২২ তারিখ শনিবার দুপুরে এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জুলফিকার আলী ভুট্টু (আনারস) রিটার্নিং অফিসার সহ বিভিন্ন দফতরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করছেন। সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের (আনারস) স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার আলী ভুট্টু জানান, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর ৪০/৪৫টি মোটর সাইকেলে আমার সমর্থকদের নিয়ে ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য বের হই। প্রচারণাকালে সবুজপাড়া আক্কেলের ঘাট এলাকায় পৌঁছালে ওৎ পেতে থাকা নৌকা প্রার্থীর ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা আমার সমর্থকদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় আমার সমর্থকদের তারা রড, লাঠি ও বাটাম দিয়ে মারপিট করে এবং আমার কর্মীদের ৩০টি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে।
এতে নৌকার সর্মথকদের হামলায় আমাদের ২০জন কর্মী আহত হয়। তিনি আরও জানান, ঘটনাটি ঘটার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং থানার ওসিকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পরে শনিবার দুপুরে লিখিত অভিযোগ স্ব স্ব দফতরে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সগুনা ইউপির আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) যে অভিযোগ দিয়েছে তা সম্পুন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার নির্বাচনী এলাকার জন সমর্থনকে নষ্ট করার জন্য তারা নিজেরাই বিভিন্ন মিথ্যা পায়তারা করছে।ওইখানে আমার নির্বাচনী মিটিং ছিল। তারা মিটিং ব্যাহত করার উদ্দ্যেশে ওখানে এসে বাশি বাজানো শুরু করে। আমি মিটিং শেষ করে দেখি তারা ওখানেই অবস্থান করছে এবং আমার নামে বিভিন্ন ন্যাক্কার জনক কথা বলছে। আর ওই সময় রাত বাজে সাড়ে ৯টা ।
নির্বাচনী প্রচারনার সময় নয়। তখন আমি নির্বাচন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করি। পরে আমি নিজে গিয়ে তাদেরকে যেতে বলেছি। তারা চলে গেছে সেখানে কোন কিছুই হয় নাই। তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলে আশিক বলেন, এখনো কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তাড়াশ রির্টানিং অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার আকতারুজ্জামান বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।