সিরাজগঞ্জের তাড়াশে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পানাসি)’র বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের গুড়মা গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে আবু হানিফ উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল করিম বরাবর এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের আবু হানিফ গুড়মা মৌজাস্থ গুড়মা মাঠে সেচ লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি বরাবর আবেদন করলে কমিটির সচিব ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পানাসি) ইমাম হোসেন ৬ জানুয়ারী ২১ তারিখে ওই স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন করে তিনি আবু হানিফকে সেচ লাইসেন্স পাইয়ে দিতে (৫০) পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করেন। বিনিময়ে তিনি তাকে পরামর্শ দেন আপনার পুরাতন লাইসেন্সের ফটোকপি দাগ নম্বর পরিবর্তন করে পল্লী বিদ্যুতে আবেদন করেন। আমি আপানার সেচ লাইসেন্স ঠিক করে দিবো।
ওই সময়ে সন্তুষ্ট হয়ে আবু হানিফ ৩জন লোকের সামনে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পানাসি) ইমাম হোসেন কে (৩০) ত্রিশ হাজার টাকা এবং পরে তার বিকাশ নম্বর (০১৭৪৯০২৩৭৩৮) তে ৬ হাজার ১শ ২৫টাকা দেন। তার পরামর্শে আবু হানিফ পল্লী বিদ্যুতে আবেদন করলে পবিসি হতে ডিমান্ড চার্জের জন্য চিটি দেন।ফলে আমি ডিমান্ড চার্জ জমা দেয়।ডিমান্ড চার্জ জমা দেওয়ায় পবিসি বৈদ্যুতিক লাইন নির্মান করেন। এমতবস্থায় পল্লী বিদ্যুৎকে লাইসেন্স না থাকার কথা বলে দিবেন মর্মে আবারও (৫০) পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করেন ও বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখান। উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পানাসি) ইমাম হোসেনকে দাবীকৃত টাকা দিতে না পারায় সংযোগটি হচ্ছেনা। এ সংযোগ না হলে আমি আর্থিক ভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হবো বলে অভিযোগটি দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পানাসি) ইমাম হোসেন বলেন, আবু হানিফের আগে ওই মৌজায় আগে ১জন আবেদন করেছেন। তাছাড়াও তিনি ডুপ্লিকেট লাইসেন্স দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ থেকে সংযোগ নিয়েছে যা আইন বহির্ভূত কাজ। সেচ কমিটির মিটিংয়ের পর সিদ্ধান্ত হবে। সে আমার নামে যে অভিযোগ করছেন সেটা সম্পর্ন মিথ্যা,বানোয়াট ও হিংসাত্বক। কমিটির সভাপতি ছাড়া আমি কোন কিছুই করতে পারবোনা।এ ব্যাপারে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল করিমকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।