সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যানের বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে।২৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার গভীর রাতে তালম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সভাপতি তারটিয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্বাস-উজ-জামানের বাড়িতে এ ডাকাতি হওয়ার ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে,চেয়ারম্যানের বাড়ী ৬টি ঘর ইটের বিল্ডিং ও ৪টি ঘর মাটির দুই তালা বিশিষ্ট।ওই রাতে চেয়ারম্যান ও তার মা বাড়ীতে ছিলেন।স্থানীয়দের ধারনা ডাকাত দলের ২/১জন সদস্য চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাত করার জন্য বাড়ীর মধ্যে ঢুকে লুকিয়ে থাকে।
চেয়ারম্যান সন্ধ্যা রাতে বাড়ি ফিরে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমাতে যাবে এমন সময় ডাকাত দলের সদস্যরা আগ্নেয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে আটকিয়ে হাত পা বেধে ফেলে।পরে পূর্ব পাশের ভিতরের গেটের বালা কেটে ডাকাত দলের অন্য সদস্যরা ভিতরে প্রবেশ করে।
পরে তার মাকেও বেধে ফেলে ডাকাত দল অস্ত্র ধরে ২ জনকে আটকে রেখে তারা ৭টি আলমারী,৪টি ট্রাঙ্ক,২টি সেলফ ও ৪টি ড্রেসিং টেবিল ভেঙ্গে ৬০ ভরি সোনার গহনা ও নগদ ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।এতে প্রায় চেয়ারম্যানের ৫০ লক্ষ টাকার মালামাল ছিনতাই হয়েছে।
বিষয়টির সমবেদনা জানাতে দেখা করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কর্মকার,সাথে ছিলেন মাগুড়া বিনোদ ইউপি চেয়ারম্যান ও সভাপতি প্রভাষক আতিকুল ইসলাম বুলবুল।এ বিষয়ে তালম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সভাপতি তারটিয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্বাস-উজ-জামান বলেন,আমার বাড়ীতে ১৫/২০ জনের ডাকাত দল আমাকে ও আমার অসুস্থ বৃদ্ধ মাকে বেধে রেখে রাত ১.১৫ মিনিট থেকে ৩.৩০ মিনিট পর্যন্ত সব গুলা ঘর তন্ন তন্ন করে ভেঙ্গে চুড়ে যা যা নেওয়ার দরকার তারা নিয়ে গেছে।
আমার মাকে ও আমাকে তারা জানে মারে নাই এজন্য আল্লাহর নিকট অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ ফজলে আশিক বিষয়টি নিশ্চিশ করে বলেন,চেয়ারম্যানের বাড়ীতে ডাকাতী হওয়ার ঘটনা দুঃখজনক।খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।তদন্ত চলছে।তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।