মানিকগঞ্জের সিংগাইরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোঃ লিটন মিয়া (৩৬) নামে এক যুবক খুন হয়েছে। খুন হওয়া লিটন উপজেলার জামশা ইউনিয়নের বাস্তা গ্রামের মৃত আহমদ আলীর পুত্র। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ( ৩ ডিসেম্বর ) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে জমিতে ধান কাটতে যাওয়ার সময় কৃষি শ্রমিকরা গোলাইডাঙ্গা ফাঁকা রাস্তায় ব্রীজের নিচে জনৈক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পায়। খবর পেয়ে নিহতের বড় ভাই সুরুজ মিয়া তার ছোট ভাই লিটনের লাশ বলে শনাক্ত করেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে এবং সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
নিহতের বড় ভাই সুরুজ মিয়া অভিযোগ করে বলেন,গত ২২ নভেম্বর সরিষা ভাঁঙ্গাতে গিয়ে খৈল নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমাকে মারধর করে বাস্তা গ্রামের সমশের উদ্দিনের ছেলে গৈজুদ্দিন। এরপর ২৫ নভেম্বর স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় সালিশী বৈঠকের কথা বলে উপস্থিত করে পুনরায় দা দিয়ে কুপিয়ে এবং লাঠি দিয়ে আগাত করে আমার ছোট ও ভাগিনাসহ আমাকে গুরুতর আহত করলে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
চিকিৎসা শেষে বুধবার (১ ডিসেম্বর ) আমরা বাড়ি ফিরি।পরদিন ছোট ভাই লিটন বাড়ি থেকে ঘুরতে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। সারারাত অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার কোন খোঁজ পাইনি। অবশেষে শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর ) সকালে বাস্তা ব্রিজের নিচে লাশ পরে আছে এমন খবর পেয়ে গিয়ে দেখি আমার ভাইয়ের লাশ পরে আছে । আমি আমার ভাইয়ের খুনিদের ফাঁসি চাই। মামলার সুরতহাল কারি তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, ব্রিজের নিচ থেকে রশি পেঁচানো লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ সফিকুল ইসলাম মোল্যা বলেন, খুনের প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন, খুনিদের সনাক্ত, আসামি গ্রেফতার ও অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।