সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ জিন্দানি ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ নিয়োগ কমিটির বিরুদ্ধে মামলা থাকাবস্থায় আইন অমান্য করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ বানিজ্য করা হয়েছে।মামলা সুত্রে জানা গেছে,গত ০৪.০৫.২০১৯ইং ও ০২.০৬.২১ইং তারিখে উপাধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য পত্রিকাতে বিঞ্জপ্তি প্রকাশ করা হয়।সে মোতাবেক মামলার বাদী মোঃ দুলাল হোসেন ১ হাজার টাকা জমার রশিদ ও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সহ কলেজ অফিসে দরখাস্ত জমা দেন।
উল্লেখিত আবেদন পত্র যাচাই বাচাই অন্তে সঠিক বিবেচনায় সাক্ষাৎকারের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়।কিন্ত অনিবার্যকারন বশতঃ নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়।পরে আবেদন কারীগনের বরাবর কোন প্রকার সাক্ষাৎকার পত্র প্রেরন না করে মামলার ৬ নং বিবাদী মোঃ আব্দুর রহিম এর নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাকে নিয়োগ প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতি দেন।
মামলার বিবাদী কে এম আব্দুল আলীম ও মোঃ আবুল হাসান জানান,নিয়োগের ব্যাপারে খোজ খবর নিতে গেলে ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কাশেম বলেন,ওই পদে কমিটি আব্দুর রহিমকে যোগ্য মনে করে নিযোগ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।লোক দেখানো একটি সাক্ষাৎকার গ্রহন ও ওই কলেজে উপাধ্যক্ষ পদে মেধা সম্পন্ন এবং যোগ্য প্রার্থী নিয়োগের লক্ষে বর্তমান কলেজ পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেন।
পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আবেদন পত্র গ্রহন ও পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য মেধা সম্পন্ন প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদানের স্বার্থে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থানা সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন উল্লাপাড়া উপজেলার কয়ড়া হোড়পাড়া গ্রামের মোঃ ফজলুর হকের ছেলে মোঃ দুলাল হোসেন।মামলা নং ২৩৮/২০২১ তাং ২৩.০৯.২১ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোট ডিবিশনের হাইকোট বেঞ্চ ২৪.০৯.২১ তারিখের নিয়োগ বোর্ড বাতিল চেয়ে রিট পিটিশন করা হয় যার নং ৮২৮৬ তাং ২৩.০৯.২১।
মামলার বাদী মোঃ দুলাল হোসেন বলেন, ২৪.০৯.২১ তারিখে লোক দেখানো বোর্ড গঠন করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কাশেম নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন বলেই কোর্টে মামলা দেওয়া হয়েছে।এ ব্যাপারে নওগাঁ জিন্দানি ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কাশেম বলেন,কলেজের নিয়োগ বাতিল সংক্রান্ত কোর্টের কোন নোটিশ আমরা পাইনি।বিধায় নিয়োগ স্থগিত করার কোন কারন নেই।