সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট ও মন্তব্য করায় মানিকগঞ্জের সিংগাইরে মোস্তাফিজুর রহমান খান মুকুল (৩৫) নামে গ্রেফতার হওয়া ভূয়া সাংবাদিকের জামিন নামঞ্জুর করছেন আদালত । গত বুধবার (৩০ মার্চ) মানিকগঞ্জ-২ আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম এলিনা আক্তারের আদালতে জামিন শুনানী শেষে নামঞ্জুর করেন আদালত। আসামী পক্ষে শুনানী করেন অ্যাড. আসাদুজ্জামান আসাদ। বাদী পক্ষে জামিনের ঘোর বিরুদ্ধিতা করেন সিএসআই মোঃ শফিকুল ইসলাম।
এর আগে সিংগাইর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ভোরের কাগজ প্রতিনিধি মাসুম বাদশাহ’র দায়ের করা ডিজিটাল মামলায় বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দিবাগত রাতে থানা পুলিশ মুকুলকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত মুকুল সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর খানপাড়া গ্রামের মৃত জামান মাদবরের পুত্র। সে নিজেকে নিবন্ধনবিহীন নাম সর্বস্ব অনলাইন পোর্টাল সত্য প্রকাশের পরিচয় দিয়ে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিল।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক মাসুম বাদশাহ’র বিরুদ্ধে তার ফেসবুক আইডি “মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান মুকুল ” থেকে বিভিন্ন সময় অপমানজনক , আপত্তিকর ও ছবি বিকৃিত করে মিথ্যা-বানোয়াট প্রচারণা চালিয়ে আসছিল। একই পোস্ট তার নিবন্ধনবিহীন সত্য প্রকাশেও শেয়ার করে। এতে মাসুম বাদশাহ’র সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন হলে তিনি থানায় মামলা দায়ের করেন। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক উপজেলার ফোর্ডনগর গ্রামের জনৈক রনির কাছ থেকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
ভূক্তভোগী রনি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে জানান। এদিকে, সাংবাদিক নামধারী মুকুল গ্রেফতারের খবরে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও তার শাস্তির দাবীতে ঝড় ওঠেছে। মামলার বাদী ও থানা পুলিশকে হয়রানির শিকার ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন সাধুবাদ। গ্রেফতাকৃত মুকুল ইতিপূর্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৫৭ ধারার মামলায় হাজত বাস করেছে। বর্তমানে মামলাটি সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে ।