সিংগাইরে ইউএনওকে আপা বলায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে লাঠিপেটা। বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুনা লায়লার হেফাজতে থাকা ত্রাণ সামগ্রী নষ্ট হওয়ার রেশ না কাটতেই এবার ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানার পর ব্যবসায়ীকে লাঠিপেটার ঘটনা ঘটেছে।
ইউএনও’কে স্যার না বলে আপা সম্বোধন করায় সংখ্যালঘু তপন চন্দ্র দাশ (৪৫) নামের ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে লাঠিপেটা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালতের সাথে থাকা আইন শৃংখলা বাহিনীর এক সদস্য। বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের জায়গীর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার তপন চন্দ্র দাস উপজেলার জয়মন্টপ গ্রামের গুরু চন্দ্র দাসের পুত্র।
জানা গেছে, চলমান কঠোর লকডাউনের ৮ম দিনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় বের হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুনা লায়লা। বৃহস্পতিবার বিকেলে জায়গীর বাজারে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন তিনি। এ সময় ওই বাজারে প্রিতম জুয়েলার্স নামের স্বর্ণের দোকান খোলা থাকায় দোকানটিতে ঢুকে মালিক তপন চন্দ্র দাস ও একাধিক ক্রেতাকে জরিমানা করেন। এক পর্যায়ে তপনকে শাসানো হলে ইউএনওকে আপা বলে ক্ষমা চান তিনি। ঘটনাস্থলে ইউএনও’র সাথে থাকা আইন শৃংখলা বাহিনীর এক সদস্য ওই ব্যবসায়ীকে লাঠিপেটা করেন।
ভুক্তভোগী তপন দাস অভিযোগ করে বলেন লকডাউনের শুরু থেকেই আমার দোকান বন্ধ ছিল। ক্রেতাদের পূর্বের অর্ডারকৃত স্বর্ণালংকার ডেলিভারী দিতে গেলে ভ্রাম্যমান আদালত উপস্থিত হন। আদালত নির্ধারিত জরিমানার ২’হাজার টাকা পরিশোধ করি। লকডাউন অমান্য করায় ইউএনও কে আপা বলে ক্ষমা চাওয়ার পরও কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাকে লাঠি দিয়ে ৩টি বারি মারে এক সদস্য।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুনা লায়লা বলেন, মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি। দোকানে অনেক লোকের সমাগম থাকায় মালিকসহ ক্রেতাদের জরিমানা করে দোকানটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, সিনিয়র অফিসাররা এরকম করার কথা নয়।