তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন সৃজনশীল প্রকল্প ও উদ্যোগের ফলে ২০৪১ সালের মাঝে বাংলাদেশ একটি মেধাভিত্তিক সাশ্রয়ী ও উন্নত দেশে পরিণত হবে। সরকারের গৃহীত শেখ কামাল তথ্য ও প্রযুক্তি (আইটি) প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্প যখন বাস্তবায়ন হবে তখন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। হবিগঞ্জে প্রকল্পের জন্য যে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে সেখানেই দ্রুত এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। এই প্রকল্পে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে উপকৃত হবে হবিগঞ্জবাসী।
শুক্রবার (২২ জুলাই) দুপুরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আনন্দপুর মৌজায় শেখ কামাল তথ্য ও প্রযুক্তি (আইটি) প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টার এর নামে জেলা প্রশাসন কর্তৃক হস্তান্তরকৃত ৭.১২ একর খাসভূমি পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, করোনাকালীন সময়ে তথ্য ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমরা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। শেখ কামাল তথ্য ও প্রযুক্তি (আইটি) প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টার, শেখ রাসেল ডিজিটাল সেন্টার ও হাইটেক পার্ক প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা দেশকে প্রযুক্তি শিক্ষায় একধাপ এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছি। আমরা ২০২৫ সাল নাগাদ আইসিটি খাত থেকে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। বর্তমানে দেশে ৩শ’ স্কুল অব ফিউচার ও ৮ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ২০২৫ সাল নাগাদ আরও ২৭ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও ৩শ’ স্কুলস অব ফিউচার স্থাপন করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা (আইসিটি) রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজরাতুল নাইম ও সহকারী কমিশনার ভূমি ইয়াসিন আরাফাত রানা প্রমুখ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আইটিভিত্তিক জনশক্তি তৈরির পাশাপাশি ছোট উদ্যোক্তা এবং ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হবে আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের কার্যক্রম। কম খরচে ইনকিউবেশন সুবিধা পাবেন উদ্যোক্তারা। সব ধরনের অবকাঠামো সুবিধা থাকবে কেন্দ্রটিতে। দেশের ১৪ জেলায় এক হাজার ১১৪ কোটি ৬২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ব্যয়ে এই সেন্টার নির্মাণ করা হবে। যে ১৪টি জেলায় ইনকিউবেশন সেন্টারগুলো স্থাপন করা হচ্ছে সেগুলো হল হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নড়াইল, ঢাকা, টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, শেরপুর, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, নোয়াখালী, ফেনী ও পটুয়াখালী। প্রতিটি সেন্টার তৈরিতে ১১৫ কোটি টাকার মত ব্যয় হবে।