এক বছরেও হবিগঞ্জে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের কাজ শেষ হয়নি। এদিকে জেলায় করোনায় আক্রান্তদের রোগ নির্ণয়ে এখনো সিলেট থেকে নমুনা পরীক্ষা করে আনার জন্য কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৭ জুলাই স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের এক সভায় হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পিসিআর ল্যাবসহ মডার্ন মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। এদিকে মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় সিলেট থেকে নমুনা পরীক্ষা করে আনতে কয়েক দিন সময় লেগে যায়।
জেলাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ইমারজেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড পেনডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস প্রকল্পের আওতায় পিসিআর ল্যাব জরুরি ভিত্তিতে স্থাপন করার পদক্ষেপ নেয়। গত বছর এপ্রিল মাসে ঐ ল্যাব স্থাপনের জন্য টেন্ডার আহ্বান করে গণপূর্ত বিভাগ। সে অনুযায়ী একই বছরের ১১ মে দরপত্র খোলা হলেও কার্যাদেশ পায় ৩০ জুলাই। জানা যায়, ল্যাবটি হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজের আওতাধীন হওয়ায় সদর হাসপাতালে এটি স্থাপন নিয়েও জটিলতা দেখা দেয়। এদিকে জালাল এন্টারপ্রাইজের স্থানীয় প্রতিনিধি আজিজুর রহমান আজিজ জানান, প্রথম দিকে পিসিআর ল্যাবের স্থান নির্ধারণ নিয়ে জটিলতা ও অন্যান্য কারণে দেরিতে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। লকডাউনের কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ও ভবন উন্নয়নের মালপত্র আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। হাসপাতালের পুরাতন একটি ভবনে ল্যাব স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় মেরামত ও উন্নয়নের কাজ সমাপ্ত হলেও বর্তমানে ভবনটি তালাবদ্ধ রয়েছে।
শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগীয় প্রধান ডা. কান্তি প্রিয় দাশ জানান, পিসিআরসহ মডার্ন মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন এবং এই জন্য দক্ষ জনবল নিয়োগ ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি পাওয়ার পর ল্যাবটি চালু করা সম্ভব হবে। ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুখলিছুর রহমান উজ্জ্বল জানান, বর্তমানে করোনা স্যাম্পল কালেকশনের পর সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগে পরীক্ষার পর দুই-তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া যায়। নতুন পিসি আর ল্যাবের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবল পাওয়ার পর ল্যাবটি চালু করা সম্ভব হবে