মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান মিঠুর (৫০) বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন জনৈক এক নারী (২১)।গত ৫ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে এ মামলা দায়ের করেন।মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত জুডিশিয়াল তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলে বাদীপক্ষের আইনজীবি মোঃ জাকির হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে প্রকাশ,চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিঠু ওই নারীর সিংগাইর থানায় ২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সিংগাইর থানায় দায়ের করা একটি মামলা এবং পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের অজুহাতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাধ্যমে ছলে-ছুতোয় তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।এরপর ২০১৯ সালের ১ জুলাই তার পরিষদের একটি কক্ষে নিয়ে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়।এতে ওই নারী রাজি না হলে এফিডেফিটের মাধ্যমে বিয়ের ফাঁদে ফেলে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।
এক পর্যায়ে ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার মেঘুলা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতে থাকেন।ওই নারী গর্ভবতী হলে তাকে কৌশলে ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত ঘটান।এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর পার্শ্ববর্তী নবাবগঞ্জের বান্দুরা মর্ডাণ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা করান।কিছুদিন পর বাদীনি জানতে পারেন, তাদের এ বিয়ের আইনগত কোন বৈধতা নেই।
পুনরায় বৈধ বিয়ের জন্য চেয়ারম্যানকে চাপ দিলে সে তাতে রাজি না হয়ে ২০২০ সালের ২৪ মার্চ বাদীনিকে জোরপূর্বক বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে হত্যার চেষ্টা করেন।পরিস্থিতি সামাল দিতে চেয়ারম্যান মিঠু তার ইউনিয়নের দক্ষিণ জামসা গ্রামের রতন বসাকের বাড়ি ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর হিসেবে বসবাস করতে থাকেন।ভিকটিম পুনরায় স্ত্রীর মর্যাদায় মিঠুর সংসারে ওঠতে চাইলে ওই চেয়ারম্যান তাকে মানষিক ও শারীরিক নির্যাতন করতে থাকেন।
নিরুপায় হয়ে ভিকটিম এলাকার বিভিন্ন লোকজন ও থানায় ধর্ণা দিয়ে প্রতিকার না পেয়ে অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হন।অভিযুক্ত জামসা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান মিঠু বলেন,আমি ওই নারীকে বৈধভাবে বিয়ে করে ৩ বছর যাবত তার ভরণপোষণসহ সকল দায়িত্ব পালন করছি।ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার প্রতিপক্ষ তাকে ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে সাজানো মামলা দায়ের করেছে।যাতে আমি আগামী নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন না পাই।