1. bpdemon@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
  2. ratulmizan085@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
শরীয়তপুরে মামলা জটিলতায় বন্ধ স্কুল ভবনের কাজ, ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা।
বাংলাদেশ । রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

শরীয়তপুরে মামলা জটিলতায় বন্ধ স্কুল ভবনের কাজ, ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা।

এস.এম.স্বাধীন:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ মার্চ, ২০২২
  • ৩০৩ বার পড়েছে

মামলা জটিলতার কারণে ২ বছর ধরে বন্ধ শরীয়তপুর সদর উপজেলার ১০৩ নং আমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ। জায়গার মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা করেন ম্যানজিং কমিটির সদস্য মজিবর মুন্সী। ফলে বন্ধ রয়েছে নতুন ভবন নির্মাণ। এদিকে সাময়িকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি টিনশেড নির্মাণ করা হয়েছিল বন্যায় সেই টিনশেড ভেঙে গেছে তাই নির্মাণাধীন ভবনে চলছে পাঠদান এর কাজ। মাঠ ভর্তি রয়েছে কনস্ট্রাকশনের জিনিসপত্র যার কারণে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা। দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের আমতলী গ্রামে অবস্থিত ১০৩ নং আমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ২০২০ সালে বিদ্যালয়টিতে একটি একতলা ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। পুরাতন স্কুল ভবন ভেঙে সেই জায়গায় কাজ শুরু করা হয় নতুন ভবনের। ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্য ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতেই স্কুলরে নতুন ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।তবে, নতুন ভবনের কাজ শুরুর কিছুদিন না যেতেই স্থানীয় এক বাসিন্দা মজিবর মুন্সি স্কুল নির্মাণের জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা করেন। এরপর আদালতের নির্দেশে দীর্ঘ দুই বছর ধরে ভবন নির্মাণ বন্ধ।এদিকে, ভেঙে পড়া টিনশেড সংস্কার করে পাঠদানের কার্যক্রমে বাধা দিচ্ছেন মামলার বাদী মজিবর মুন্সি যার ফলে কার্যক্রম চলছে নির্মাণাধীন ভবনে ।

১০৩ নং আমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান বলেন, মামলা জটিলতার কারণে দুই বছর যাবত শিক্ষাব্যবস্থা নানানভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এখানে শিক্ষার্থীরা আসতে পারতেছেনা। সাময়িকভাবে পড়াশোনার জন্য একটি টিনশেড নির্মাণ করছিলাম সেটিও ভেঙে পড়ে গেছে। আমাদের ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা দিয়ে সেটা সংস্কার করব। মজিবর মুন্সি তাতেও বাধা দিচ্ছেন এখন আমি নির্মাণাধীন ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এই অবস্থায় থাকলে এলাকার সন্তানদের সুশিক্ষা দেওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মামলার বাদীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করব তিনি যাতে এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য হলেও দ্রুত সমঝোতায় এসে স্কুল ভবন নির্মাণ কাজে সহায়তা করেন এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করার সুযোগ করে দেন।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আক্কাস আলী মুন্সী বলেন, স্কুল ভবন নির্মাণ কাজের সময় মজিবর মুন্সি কোন ধরনের বাধা দেন নাই। তিনিও নিজে সাথে ছিলেন কাজ শুরু করার সময়। এরপরে নিজের স্বার্থের জন্য ষড়যন্ত্র করে এই মামলাটি দায়ের করে এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করতেছেন। আমি অনুরোধ করব সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যাটি দ্রুত মিট করার জন্য। যাতে এলাকার শিশু সন্তানরা পড়াশোনা করতে পারে সেই পথ করে দেওয়ার জন্য।মামলার বাদী মজিবুর মুন্সি বলেন, স্কুলের জায়গা স্কুল হয় না তাই আমার জায়গার ওপর জোর পূর্বক স্কুল নির্মাণ করা হয়েছে। এখন যদি স্কুলের জায়গা থেকে আমাকে জায়গা দেওয়া হয় তাহলে সমস্যা সমাধান সম্ভব।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, জায়গা রেকর্ড আছে স্কুলের নামে আর দলিল করছেন মামলার বাদী মজিবর মুন্সির নামে। স্কুল নির্মাণ ভবনের কাজ অর্ধেক হওয়ার পরে মামলা দায়ের করেন তিনি। এখন আমরা তাকে স্কুলের সম্পত্তি থেকে জায়গা দেওয়ার কথা বলছি। কমিটির সাথে সমন্বয় করে যদি দ্রুত মীমাংসায় আসে তাহলে আমরা স্কুল ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার উপযুক্ত করে তুলতে পারি ।
Attachments area

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
প্রকাশক কর্তৃক জেম প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, ৩৭৪/৩ ঝাউতলা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Hi-Tech IT BD