বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যা মামলার বিচার কাজ ১৯ বছরেও শেষ হয়নি। ইতোমধ্যে মামলার বাদি নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধার বাবা ও চার্জসিটভুক্ত ৫ আসামী মামলা চলাকালিন সময়ে মারা গেছেন। নিহতের সন্তানরা অপেক্ষা করছেন ন্যায় বিচার দেখার। ঘটনাটি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার।
মামলা ও আদালতের পিপি শাহ মোঃ নয়ন্নুর রহমান সূত্রে জানাগেছে, ২০০৩ সালের ৫ নভেম্বর রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ইসমাইলপুর এলাকার আবুল কাসেম সর্দ্দারের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান ওরফে লুতু (৫৬) তার ছোট ভাইকে নিয়ে নিজ দখলীয় রুহিয়ার বিল দেখতে যান। এসময় প্রতিপক্ষ মোঃ মোন্নাফ গং বিলে লাল নিশান লাগিয়ে বিলের দখল নিতে চেষ্টা করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান লুতু ও তার ভাই এতে বাধা দিলে প্রতিপক্ষরা তাদের লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান লুতু মারা যান। এ ঘটনায় ওই রাতে নিহতের বাবা আবুল কাসেম সর্দ্দার বাদি হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০০৪ সালের ২০ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ২৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জসিট দাখিল করেন।
মামলা চলাকালীন অবস্থায় ২০১৭ সালে মামলার বাদি নিহতের পিতা মারা যান। এদিকে ২৩ জন আসামীর মধ্যে ৫ জন বিভিন্ন সময়ে মারা যান। বর্তমানে এই মামলায় ১৮ জন আসামী জামিনে রয়েছেন। নিহতের ছেলে মুকুল মিয়া বলেন, আমার দাদা তার ছেলে হত্যার বিচার দেখে যেতে পারেনি। আমরা আমাদের বাবার হত্যার ন্যায় বিচার দেখার আশায় রয়েছি। সরকার পক্ষের পিপি শাহ মোঃ নয়ন্নুর রহমান বলেন, জেলা দায়রা জজ আদালতে মামলাটি বর্তমানে যুক্তিতর্কের পর্যায়ে রয়েছে। এরপরে রায় ঘোষণা করা হবে। আসামীপক্ষ বার বার সময়ের আবেদন করায় মামলার বিচার কাজ বিলম্ব হচ্ছে।