মুন্সীগঞ্জে ধলেশ্বরী নদী ভাঙন রোধে নদীর পাড়ে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। সোমবার (১৭ ই জানুয়ারি) সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দের চর ও খাসকান্দি গ্রামবাসীর আয়োজনে যুব সমাজের উদ্যোগে এ মানববন্ধন করা হয়। ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ২ শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিক্ষার্থী মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করে। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ একযুগেও বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও এ সমস্যার কোন সমাধান হয়নি। এর আগে যুব সমাজের উদ্যোগে এলাকাবাসীর আর্থিক সহযোগিতায় নদী ভাঙন রোধে বাঁশ লাগিয়ে চেষ্টা করছে নিজেরাই ।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তারা আরো বলেন, এক কিলোমিটার দীর্ঘ ও প্রস্থ্যে ২ শত মিটারের বেশি জমি ভাঙনে নদীতে বিলীন হয়েছে। ধীরে ধীরে ভাঙতে ভাঙতে এখন জনবসতি এলাকার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। ফসলী জমি বেশির ভাগ নদী গর্ভে। তাদের দাবী এখনই দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বসতবাড়ি, স্কুল, মাদরাসা, মসজিদ খেয়া ঘাট ও ২ টি হাটবাজার অচিরেই বিলীন হয়ে যাবে। এ এলাকায় ৩ টি ওয়ার্ডের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বসবাস করে সকলের জমিজমা হুমকির মধ্যে রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খাসকান্দি মাদরাসার পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ আমির হোসাইন, ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার ছালেহা বেগম ২ নং ইউপি সদস্য আলেকচান সজিব, যুব সমাজের সদস্য সিরাজুল ইসলাম, মো.সামসুদ্দিন, মো. সওদাগর, মো. আজগর আলী, রুবেল হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও সাধারণ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলো।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম জানান, আমি সরোজমিনে চান্দের চরের নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শণ করেছি। আমি জেলা প্রশাসক বরাবর দুই দফায় লিখিতভাবে গত ২২-০৯-২০২০ সালে ও ০৩-০৮-২০২১ সালে জানিয়েছি। তার অনুলিপি মাননীয় সংসদ সদস্য ও পানি উন্নয়ন বোর্ডে দিয়েছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকতার্দের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছি। তারাও পরিদর্শণ করেছেন। আশা করছি স্থায়ী সমাধানের লক্ষে পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্যবস্থা নিবে।