ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে তিন সন্তানের জননীকে গলাকেটে হত্যার দুই দিন পর থানায় মামলা হয়েছে।নিহতের ছেলে মোঃ ইমরান হোসেন (২১) বাদি হয়ে রবিবার (৯ অক্টোবর) রাত সোয়া ১১টায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনসহ সন্দেহজনক ছয়জনের নাম উল্লেখ করে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়,গত ৭ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বোয়ালমারী পৌরসভার আধারকোঠা গ্রামের মোঃ আবুল খায়ের মন্ডলের স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিনের সাথে তার মেয়ে প্রিয়াংকার মেবাইল ফোনে কথা হয়।এরপরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রিয়াংকা তার মা নিলুফাকে ফোন দিলে প্রথমে রিং বাজলেও পরে মোবাইলটি বন্ধ হয়ে যায়।
পরে নিহতের মা বিনা বেগম,বোন পলি খানম সন্ধ্যার দিকে নিলুফার সন্ধানে বাড়ির বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তার লাশ বাথরুমের সেফটি ট্যাংকের মধ্যে পায়।নিলুফা একা বাড়িতে থাকায় ওইদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে যেকোনো সময় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে মাথায়,কপালে ও গলা কেটে খুন করে লাশ বাথরুমের সেফটি ট্যাংকের মধ্যে ফেলে বাইরে থেকে গেটের তালা লাগিয়ে দেয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এরপর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা লাশটি উদ্ধার করে।এ ঘটনার দুই দিন পর নিহতের বড় ছেলে মো. ইমরান হোসেন বাদি হয়ে খুন করে লাশ গুম করার অপরাধে ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড ধারায় শনিবার রাত সোয়া ১১টায় বোয়ালমারী থানায় মামলা করেছেন।মামলায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনসহ সন্দেহজনক দেলোয়ার চৌধুরী,রবিউল,জাহিদুল ইসলাম,রাজু,নাহিদ আলম ও মনিরের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন,এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মোঃ ইমরান হোসেন বাদি হয়ে শনিবার রাতে মামলা করেছেন।মামলায় এজাহারনামীয় কোন আসামী নেই তবে সন্দেহজনক ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।