জীবনের শেষ প্রান্তে এসে শুধু একটিবার প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিওকলে কথা বলতে চান রাজশাহীর ১০৪ বছরের বৃদ্ধা লক্ষ্মী রানী কবিরাজ।শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ করার কারণেই বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ভয়াবহ রাজনৈতিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দশরথ চন্দ্র কবিরাজের পরিবার।কারণ হিসেবে বলেছেন যে তারা আওয়ামী লীগ করতেন তাই তাদের উপর এত ভয়াবহ নির্যাতন হয়েছে।
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ৫নং ঝালুকা ইউনিয়নের ঝালুকা গ্রামের দশরথ চন্দ্র কবিরাজ।তাকে সবাই দশরথ মাস্টার নামেই চেনেন।মুক্তিযুদ্ধকালীন এলাকায় সংগঠকের কাজ করেছেন তিনি।তার এক ছেলেও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। দশরথ মাস্টার বেঁচে নেই এখন। কিন্তু বেঁচে আছেন তার ১০৪ বছর বয়সী স্ত্রী লক্ষ্মী রানী কবিরাজ।
জীবন সায়াহ্নে এসে তিনি একবারের জন্য হলেও ভিডিওকলে কথা বলতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে।রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রদ্যুৎ কুমার সরকার জানান, দশরথ মাস্টারের পরিবার বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আলমে ২০০০ এবং ২০০১ সালে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয় দশরথ মাস্টারের পুরো পরিবার, আমি সুনেছি ২০০২তৎকালীন বিরধী দলীয় নেত্রী বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা।
সেই সময়ে নির্যাতিত অন্য পরিবারগুলোর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পান দশরথ মাস্টারের পরিবার।তিনি আরও বলেন, আমার বিশ্বাস জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে পড়লে বিষয়টি অবশ্যই তিনি ১০৪ বছর বয়সী নির্যাতিত বৃদ্ধা লক্ষ্মী রানীর সাথে যোগাযোগ করবে তিনি।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আজন্ম সৈনিক ছিলেন দশরথ মাস্টার, জাতীয় চার নেতার অন্যতম নেতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের একনিষ্ঠ সহচর ছিলেন দশরথ মাস্টার।শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় নৃশংস নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০০৬ সালের ১৩ আগস্ট অনেকটাই বিনা চিকিৎসায় এবং অবহেলিত ভাবে মারা যান দশরথ মাস্টার।
শুধুমাত্র আওয়ামীলী রাজনৈতি করার কারণে ২০০০ এংব ২০০১সালে দুই,দুই দফায় তার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছেন বিএনপি-জামায়াতের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী।লুট করা হয় বাড়ির সোনা দানা পুকুরের লাক্ষ লাক্ষ টাকার মাছ। কেটে সাবাড় করা হয় বাগানের শত,শত গাছ।দশরথ মাস্টারের পরিবারের ওপর চালিত ভয়াবহ নির্যাতনের খবর ওই সময়ে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হয়। দেশ-বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০০২ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের বিরোধী দলের নেত্রী ছিলেন।বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সেই সময়ে নির্যাতিত অন্য পরিবারগুলোর সঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পান।
প্রধানমন্ত্রী কিছু আর্থিক সহায়তাও করে ছিলেন এবং তিনি বলেছিলেন যদি কখনো আমার আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে তাহলে আপনার পরিবার থেকে যে কেউ আমার সাথে যোগাযোগ করবেন।জীবনের শেষ প্রান্তে এসে শুধু একটিবার প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিওকলে কথা বলতে চান ১০৪ বছর বয়সী বৃদ্ধা লক্ষ্মী রানী।
প্রধানমন্ত্রী ভিডিওকলে আমার সাথে যদি অনুগ্রহ করে একটাবার আমার সাথে কথা বলতো তাহলেও আমি মরলেও শান্তি পেতাম। হয়ত আমি যে কোন মুহূর্তে মরে যেতে পারি, আমি মরে গেলে আমার জীবনের ইচ্ছা অপুণ্য থেকেই যাবে।