1. bpdemon@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
  2. ratulmizan085@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
নেত্রকোণার সোমেশ্বরীর নীল জল ও সাদা মাটি পর্যটকদের হাত ছানি দিয়ে ডাকছে
বাংলাদেশ । শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

নেত্রকোণার সোমেশ্বরীর নীল জল ও সাদা মাটি পর্যটকদের হাত ছানি দিয়ে ডাকছে

মোনায়েম খান :
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৫৫১ বার পড়েছে
নেত্রকোণার সোমেশ্বরীর নীল জল ও সাদা মাটি পর্যটকদের হাত ছানি দিয়ে ডাকছে

প্রকৃতি তার অকৃত্রিম সৌন্দর্য দুই হাত ভরে ছড়িয়ে দিয়েছে পাহাড় ও নদীর নান্দনিক সপ্নিল সৌন্দর্য।পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝিরি-ঝরনাময় সোমেশ্বরী নদীর স্বচ্ছ পানি,সবুজ পাহাড় ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ঘিরে রেখেছে নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী সুসঙ্গ দুর্গাপুরকে।ভ্রমন পিপাসুদের সোমেশ্বরী নদী স্বচ্ছ পানি আর ধু ধু বালুচর যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে।সোমেশ্বরী নদীটি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বাগমারা বাজার হয়ে স্থানীয় রানী খং পাহাড়ের পাশ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

বর্ষা মওসুম ছাড়া অন্য কোনো মওসুমে সোমেশ্বরীতে পানি প্রবাহ তেমন থাকে না।এই নদীর পানিতে নেমে পায়ে বালির স্পর্শ যেন অন্যরকম অনুভূতি।নদীতে নৌকার মাঝিকে ২০ টাকা দিয়ে নদীর এপাড়-ওপাড় ঘুরে আসা যায়।শহুরে এলাকায় যাদের একেবারেই ইট পাথরের চার দেয়ালে বড় হওয়া তাদের ভেতরের মানুষটিকে রঙিন করে তুলতে পারে এ নদীর সরল ও তীব্র সৌন্দর্য আর সাদা মাটির পাহাড়ের নীল পানি।আর এসব কিছুই দেখতে পাওয়া যায় দুর্গাপুর উপজেলার পর্যটন এলাকা বিজয়পুরে।

দেশের অন্যান্য পর্যটন এলাকা গুলো থেকে ভ্রমন পিপাসুগন আলাদা মর্যাদা দিয়েছেন এ জনপদকে।সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে দেশের এ পাহাড়ি অঞ্চল পর্যটকদের কাছে হয়ে ওঠেছে দারুণ আকর্ষণীয়।দুর্গাপুরের ক্রমবর্ধমান পর্যটকদের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নতুন নতুন সাদা মাটির পাহাড় ও নীল পানির ক্ষেত্র।আগের তুলনায় রাস্তাঘাট অনেকটা ভালো হওয়ায় বিপুল সম্ভাবনাময় দুর্গাপুরে বেড়ানোর চাহিদা ভ্রমন পিপাসুদের কাছে দিন দিন আকর্ষনীয় হয়ে উঠছে।

এছাড়া বিরিশিরি এলাকায় রয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি ও আদিবাসী ঐতিহ্য মন্ডিত যাদুঘর।ঢাকার মহাখালি থেকে বাসযোগে অথবা কমলাপুর রেল ষ্টেশন থেকে ট্রেনে করে আসা যায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরে।দুর্গাপুর থেকে স্থানীয় পরিবহন, অটোরিকশা,মাহিন্দ্র,পিকআপ ও মোটরসাইকেলে সড়কযোগে যাওয়া যাবে সাদা মাটির খনি এলাকায়।সেইসাথে অল্প হেটেই যাওয়া যায় সোমেশ্বরী নদীতে।

এছাড়া ভবানীপুর গ্রামের উঁচু পাহাড় থেকে গাছ ও লতাপাতা ধরে ভয়কে জয় করে নিচে নামলেই দেখা মিলবে পাহাড়ী ঝরনার।এলাকায় বেড়াতে আসা গাজিপুর এলাকার এক স্কুলশিক্ষক মোঃ বরকত উল্লাহ বলেন,আগের তুলনায় রাস্তা অনেক ভালো হওয়ায় স্বাচ্ছন্দে বেড়াতে পারলাম।পাহাড়ি ঝরনায় পৌঁছানোর পথ অত্যন্ত ভয়ঙ্কর হলেও ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে এটি অত্যন্ত আকর্ষণীয়।যাদের পাহাড়,নদীর স্বচ্ছ পানি ও ঝরনা ভালো লাগে তারা নিঃসন্দেহে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আসতে পারেন।

দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব-উল-আহসান বলেন,আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস। অত্র এলাকায় বেড়াতে আসা সকল পর্যটকদের দুর্গাপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাই।আগের তুলনায় এলাকার রাস্তাঘাট অনেকটা ভালো থাকায় দুর্গাপুরের কদর বেড়েছে।কোভিট-১৯ এর প্রাদুর্ভাব কম থাকায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকগন আসতে শুরু করেছেন।স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কোন পর্যটক যেন পর্যটন এলাকায় প্রবেশ করতে না পারেন,সে জন্য বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসনকে বিশেষ নজরদারী রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কাজি মোঃ আবদুর রহমান বলেন,দুর্গাপুর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি।ওই এলাকাকে আরও আকর্ষনীয় করার জন্য কিছু পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে।তার মধ্যে সোমেশ্বরী নদীর ওপর ও সাদা মাটির পাহাড় এলাকায় সেতু নির্মাণ।এতে করে ওই এলাকায় পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে।পাশাপাশি আদিবাসি অধ্যুষ্যিত ওই এলাকার মানুষের কর্ম সংস্থানের সৃষ্টি হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
প্রকাশক কর্তৃক জেম প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, ৩৭৪/৩ ঝাউতলা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Hi-Tech IT BD