বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাফিনুল ইসলাম বলেছেন, রাতের অন্ধকারে অসৎ উদ্দেশ্য যারা সীমান্তের ওপারে যায় সাধারণত তারাই হত্যাকান্ডের শিকার হয়। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় অনেক মানুষ রয়েছে যাদের ভারতের মধ্য আত্মীয়-স্বজন আছে। সেই সব মানুষ বিভিন্ন উৎসবে ভারতের অভ্যন্তরে এবং ভারতের মানুষ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তাদের আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যেতে পারেন তাদের জন্য ৫/৭ দিন ভ্রমনের অনুমতি কার্ড চালুর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। এই বিষয়ে ভারতের পরারাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএসএফের প্রধানের সঙ্গেও আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
বিজিবি’র মহাপরিচালক সোমবার দুপুরে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার খাজুর ইউনিয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বিজিবি’র শীতকালীন যৌথ মহড়া পরিদর্শন করতে এসে এসব কথা বলেন। যৌথ মহড়া বিষয়ে তিনি বলেন, এর ফলে যে কোনো যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিজিবি দেশরক্ষার দায়িত্ব পালনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। পাশাপাশি বাড়বে বিজিবি সদস্যদের মনোবল ও দক্ষতা।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী যুদ্ধকালীন সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে দেশ রক্ষার লড়াই করবে। আইনে বলা এ নির্দেশনা কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তা হাতে কলমে শিখছেন। যৌথ প্রশিক্ষণ পরিদর্শন করে রণ প্রস্তুতির নানা কৌশল তৈরি করার পাশাপাশি প্রশিক্ষণার্থীদের সুখ দুঃখের খোঁজ খবরও নেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাফিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিজিবির সমন্বয়ের প্রয়োজন। সেটাই এ প্রশিক্ষের মূল উদ্দেশ্য। সব প্রশিক্ষণের ব্যাপারেই আমরা জোর দিচ্ছি। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কবির, রংপুর অঞ্চলের সেক্টর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নওরোজ, রাজশাহীর সেক্টর কমান্ডার আনোয়ার লতিফ প্রমূখ।