খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্পেশাল কেয়ার নাউবর্ন ইউনিটে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ৬ আগষ্ট (শুক্রবার) সকালে শিশুটির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় হাসপাতাল এলাকায় দায়িত্বশীল রাস্ট্রীয় সেবাদান প্রতিষ্ঠানের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জানা যায়, নবজাতক শিশুদের চিকিৎসা সেবার লক্ষ্যে বাইরের কয়েকটি রাষ্টের সহযোগিতায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ইউনিটটি খোলা হয়।
ইউনিটটিতে শুধু মাত্র ২৮ দিন বয়সী শিশুদের চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে এবং চিকিৎসা চলাকালীন ইউনিটটিতে শিশুর কোন আত্মীয়- স্বজনদের ঢুকতে দেওয়া হয় না । চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব ইউনিট কর্তৃপক্ষের। তবে দায়িত্ব পালনে অবহেলার নানা অভিযোগ ইউনিট কর্তৃপক্ষের কর্তব্যরত ডাক্তার,ওয়ার্ডবয় ও নার্সদের বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন শিশুর স্বজনেরা বলেন, এখানে দায়িত্বরত ওয়ার্ডবয়দের আচরন খুবই খারাপ, নার্সরা নিজেদের দায়িত্ব পালন না করে সারাদিন ফোন ব্যবহারে ব্যস্ত।
এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার বাড়বাড়িয়া গ্রামের ভুক্তভোগী মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, আমার সদ্য জন্ম নেওয়া শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে গত রবিবার রাতে তাকে ইউনিটটিতে ভর্তি করি। সেখানে তার অক্সিজেন চলছিল। শুরু থেকেই এখানকার কর্তব্যরতদের অবহেলা চোখে পড়েছে। আজ সকাল ৮ টায় আমি ইউনিটের গ্লাস দিয়ে দেখি আমার শিশুর অক্সিজেন শেষ, শিশুটি আর নড়াচড়া করছে না। এদিকে কর্তব্যরত নার্স তার হাতে থাকা এ্যানড্রয়েড মোবাইল ফোন ব্যবহার করেই চলেছে। আমি অনেক ডাকাডাকির পর তাকে আমার শিশুর দিকে ইশারা দিলে সে খানিক সময় পর তার কাছে যায় এবং পরবর্তীতে বাইরে এসে আমাকে বলে আপনার শিশুর অবস্থা ভাল না।
তার দেঢ় থেকে দুই ঘন্টা পর আমার ছেলেকে তারা মৃত ঘোষণা করে। মূলতঃ কর্তব্যে অবহেলার কারনেই আমার শিশু পুত্রটার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুর পিতা ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। বিষয়টি নিয়ে ঐ ইউনিটের কর্তব্যরত ডাক্তারের সাথে কথা বলতে চাইলে তা সম্ভব হয়নি। ইউনিটের ওয়ার্ডবয়ের কাছে তার ফোন নম্বর চাইলে সে বলে আমাদের কাছে তার ফোন নম্বর নাই।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ রবিউল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শিশু মৃত্যু নিয়ে কেউ আমার কাছে অভিযোগ করেনি। আমাদের হাসপাতালে অক্সিজেনের কোন সংকট নেই। তবে ভূক্তভোগীরা কেউ অভিযোগ করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।