কচুক্ষেতের মধ্য থেকে ষাটউর্ধ্ব এক বিধবা নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হয় যে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।নিহতের বাড়ী থেকে আনুমানিক ৩০০ গজ দুরত্বে খালের পাড়ে একটি কচুক্ষেত থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনার বামনা উপজেলার বুকাবুনিয়া ইউনিয়নের বড়তালেশ্বর গ্রামে। নিহত ওই বৃদ্ধার নাম মোসা. সালেহা বেগম(৬০)। তিনি ওই গ্রামের মৃত হাসান আলীর স্ত্রী।
সোমবার (১৮ জুলাই) রাত ৮টায় নিহত ওই নারীর মেয়ে আকলিমা বেগম প্রথম তার মায়ের মরদেহ খালের পাড়ে কচুক্ষেতে দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করেন। বামনা থানা পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধরনা করেণ তাকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার রাতেই বরগুনা সিআইডি ও পটুয়াখালী থেকে পিবিআই ঘটনাস্থল এসে হত্যার রহস্য অনুসন্ধান করেন। তবে কি কারণে ওই বৃদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখন এখনো জানা যায়নি।
আজ মঙ্গলবার সকালে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠায় বামনা থানা পুলিশ। এঘটনায় বামনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, রাত ৮টার দিকে নিহতের মেয়ের ডাকচিৎকারে তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং খালের পাড়ে বেরিবাঁধের পাশে একটি কচুক্ষেতের তার মায়ের লাশের পাশে মেয়েকে কান্না করতে দেখতে পান তারা। পরে পুলিশ এসে লাশটির সুরাতহাল করেন। এদিকে লাশটি থেকে মাত্র ২০ গজ দুড়ে বাঁধের পাশে একজোড়া পুরুষের জুতা পরে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। সেখান থেকে কাউকে টেনে হিচড়ে নেওয়ার চিহ্ণ দেখা গেছে। স্থানীয়দের ধারনা সন্ধ্যার পরে তাকে একা পেয়ে দুর্বুত্ত্বরা তার স্বর্নাংলঙ্কার ছিনিয়ে নেয়। তিনি তাদের চিনতে করতে পারায় তারা তাকে হত্যা করে কচুবাগানে ফেলে রেখে যায়।
এব্যাপারে নিহত ওই বৃদ্ধার মেয়ে আকলিমা বেগম জানান, সন্ধ্যার পরে তার মা ঘরে না ফিরলে তিনি তাকে খুজতে বাঁধের দিকে যায়। সেখানে তার মায়ের জুতা দেখতে পান। জুতা ও কচুক্ষেতের ভিতর দিয়ে কাউকে টেনে হিচড়ে নেওয়ার চিহ্ণ অনুসরণ করে কিছু দুরে গিয়ে তিনি তার মায়ের মরদেহ দেখতে পান। তার ধারনা ছিনতাইকারী কিংবা ডাকাতদল তার মায়ের স্বর্নালংকার ছিনিয়ে নিয়ে তাকে হত্যা করে ফেলে গেছেন।
বামনা থানার অফিসার ইন চার্জ মো. বশির আলম বলেন, প্রাথমিক ভাবে এটা একটি পরিকল্পিত হত্যা কান্ড বলে ধারনা করা হচ্ছে। সিআইডি এবং পিবিআই এই হত্যাকান্ডের তদন্ত করছেন ও লাশের ময়না তদন্ত শেষে নিশ্চিত বলতে পারবো এবং আশাকরি দ্রুত হত্যাকারী সনাক্তকরে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।