রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শাহবাজপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিদ্যালয়ের অভিভাবকগণওউপজেলার জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি শাহেদ মিয়া তার বক্তব্যে বলেন,কমিটির অভিভাবক সদস্য করেছে আমাকে না জানিয়ে বা আমার সাথে কোনো পরামর্শ না করে। তবেও সেই সময় আমি কিছু বলিনাই।
এখন এডহক কমিটির নাম দিবে আমি বললাম ওই সময় আমাকে না বলে।আপনি সবকিছু করেছেন এখন অন্ততপক্ষে আমার নাম টা দেন। হেডমাস্টার বিভিন্ন অজুহাত দেখাইয়া বলেন, আমার নাম নাকি দেওয়া যাবে না। তবেও বললাম এরা দুইজন দুইজনের নাম দিয়েছে আপনি আমার নাম দেন।
হেডমাস্টার আমার নাম দিতে নারাজ। এ নারাজের কারণ হিসেবে সভাপতি মো.শাহেদ মিয়া বলেন, ২০১৮ সালে আমি শাহবাজপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে। বিদ্যালয়ের হিসাব ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট চেয়েছিলাম। ক্যারানী সাহেবকে বলেছিলাম প্রতি মাসের শেষে প্রত্যেক ক্লাসে কত জন ছাত্র-ছাত্রী আছে এবং কতজন বিনা বেতনে,
কতজন উপবৃত্তি পায় এসব আমাকে জানাবেন।সভাপতি বলেন, শিক্ষকদেরও কর্মচারীদের কতো বেতন দেন। বিভিন্ন খরচের ভাউচার ও বিদ্যালয়ের হিসাবে চাওয়ার পর থেকে। প্রধান শিক্ষকের কাছে আমি আর ভালো হতে পারি নাই। এরপরে একদিন স্কুলে আসলাম তিনি হঠাৎ করে আমাকে ভাউচার সই করতে বলেন,আমি বললাম এসব কিসের ভাউচার।
হেডমাস্টার বললেন,এখানে নাস্তা চা-টা খাওয়া হয়েছে এসব ভাউচার। সভাপতি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানুষ দিতে আসে এখানে কেউ নিতে আসে না। আমি এসব ভাউচারে কোন সই করবোনা । এসময় সভাপতি মো.শাহেদ মিয়া বলেন,আমি যতদিন এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকবো ততদিন পর্যন্ত কোন ভাউচার করা হবে না,আর যদি হয়,এগুলা আমি সই করবো না।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, এই ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। সভাপতি শাহেদ মিয়া বলেন, করোনার সময় চার মাস আমি শিক্ষকদের বেতন আমার পকেট থেকে দিয়েছি। শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য সবসময় শিক্ষকদেরকে আমি বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি।
এসময় সভাপতি মো.শাহেদ মিয়া বলেন, আমার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বিল্ডিং নির্মাণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সহযোগিতা করে একটি বিল্ডিং করা হয়েছে। এসব ভালো কাজ করেও আমি প্রধান শিক্ষকের কাছে ভালো হতে পারিনি।
কারণ প্রতি মাসে আমার কাছে স্কুলের হিসাব দিতে হতো।এ সময় স্কুলের জায়গার ব্যাপারে শাহবাজপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো.শাহেদ মিয়া বলেন,স্কুলের জায়গা স্কুলের নামেই আছে বলে তিনি জানান। এসময় বক্তব্য রাখেন, সরাইল উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান মোছা.রোকেয়া বেগম।
অরুয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন ভূইঁয়া,সরাইল সদর ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, আওয়ামীলীগ নেতা মো.মাহফুজ আলী,মো.মনসুর আলী( দানা),বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাইফুর রহমান প্রমুখ। সভাপতি মো.শাহেদ মিয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে শাহবাজপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী বলেন।
এডহক কমিটিতে নাম না আসার কারণে অহেতুক মিথ্যাচার করছেন। এ ব্যপারে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, বিদ্যালয়ের কমিটি নিয়ে জটিলতা হয়েছে। এর নিরসনের উদ্যোগ আমরা নিয়েছি।