মুন্সীগঞ্জে সাজিদুল ইসলাম মীম (২২) নামে এক যুবককে হাতুড়ি পেটা করে হাত,পায়ের গিরাসহ সমস্ত শরীর থেঁতলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।আহত যুবক হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।গত ১৫ ই সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ইসমানির চর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের তথ্য সূত্রে জানা যায়,পূর্বে ইসমানিরচর এলাকায় ডা. তপন ও টিটু হাজির ছত্রচ্ছায়ায় একটি হত্যাকাণ্ড ঘটে।এই ঘটনা ডা. তপনের সহায়তায় ধামাচাপা দেওয়া হয়।সাজিদুল ইসলাম মীম হত্যা মামলার আসামীদের মধ্যে অন্যতম।কিন্তু সম্প্রতি তাদের মধ্যে অজ্ঞাত বিষয় নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
বুধবার টিটু হাজীর নির্দেশে সংগ্রাম মোল্লার নেতৃত্বে ৮-১০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল সাজিদুল ইসলাম মীমকে ডেকে নিয়ে স্কুলের একটি কক্ষে আটকিয়ে হাতুড়ি পেটা করে।পরে আহত সাজিদুল ইসলাম মীমকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পঙ্গু হাসপাতাল ও পরে সেখান থেকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।এখনো তার জ্ঞান ফেরেনি।
ভুক্তভোগী মীমের বড় ভাই তসলিম জানান,মীমকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে।মারধরে তার একটি হাত ও পায়ের হাঁটুর বাটি ভেঙে গেছে।সংগ্রাম মোল্লার নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।এ বিষয়ে টিটু হাজী জানান,তিনি ঘটনার কিছুই জানেন না।
অভিযুক্ত সংগ্রাম মোল্লার বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।এ বিষয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রইছ উদ্দিন জানান,ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য,হামলার শিকার যুবক সাজিদুল ইসলাম মীম (২২) গজারিয়া উপজেলার ইসমানিরচরের আব্দুল সাত্তারের ছেলে।হামলায় প্রধান অভিযুক্তরা হলো প্রভাবশালী টিটু হাজী ও সংগ্রাম মোল্লা।সংগ্রাম মোল্লা এলাকার মৃত বাসেত মোল্লার ছেলে।