সারাবছর কামারশালায় বা পট্রিতে হাতুড়ীর টং-টাং শব্দ শোনা না গেলেও ঈদুল আযহা( কুরবানী) সময় কামারশালায় দা চাকু শান কাজে ব্যস্ততার মধ্যে কাটাতে হয় কামার সম্প্রদায়।বতর্মান করোনা ভাইরাসের প্রভাব পরেছে কামার পট্টিতেও। বিগত বছরগুলোতে ঈদ উল আযহাতে কামারদের ব্যস্ততা বাড়লেও করোনা আর লকডাউনের কারণে আসন্ন ঈদে সরাইল উপজেলা কামার পট্টিতে নেই ব্যস্ততা।
করোনার আগের চেয়ে বর্তমানে তাদের আয় কমেছে কয়েকগুন। এমন কথা জানালেন পল্টন কর্মকার।আজ সরেজমিনে গেলে জানাযায় তাদের সাথে আলাপ কালে তারা বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রভাব পরেছে কামার পট্টিতেও। বিগত বছরগুলোতে ঈদ উল আযহাতে কামারদের ব্যস্ততা বাড়লেও করোনা আর লকডাউনের কারণে আসন্ন ঈদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে কামার পট্টিতে নেই ব্যস্ততা। করোনার আগের চেয়ে বর্তমানে তাদের আয় কমেছে কয়েকগুন।
এনজিও আর ব্যাংকের লোনে জড়িত অনেকে। বিক্রি কম থাকায় লোনের কিস্তি দিতেও হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকাররা। যা আয় হয় তা দিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে চলতেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। কোন কোন পরিবারের সদস্য পাঁচ থেকে ছয় জন। যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে তাদের সংসার চলেনা। কোন ভাবে সময়ের কারণে চলতে হয়।
সরাইল উপজেলার কর্মকার পল্টন জানান, এখানে আমরা তিন ভাই কাজ করি। তিন ভাইয়ের পরিবারের প্রায় ২০-২৫ জনের খানেওয়ালা আছে। এখন যে কাজ করি লকডাউনে আর করোনার মাঝে মানুষ আসে না। আগের মতো কাজ নেই। কর্মকার পল্টন বলেন,করোনার আগে যেখানে ঈদ মৌসুমে তার আয় হতো ৫থেকে ৬হাজার টাকা, বর্তমানে সেখানে তার আয় হচ্ছে মাত্র ১ থেকে ২ হাজার টাকা। এখন যা আয় হয় তা তার দোকান ভাড়া আর সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। সে তুলনায় আয় নেই। যা আয় হয় তা নিয়ে টানাফোঁড়নে চলে সংসার।
একই হাল সুশীল কর্মকারেরও।এ নিয়ে চরম হতাশ রয়েছেন তারা তিন ভাই। কোন সহযোগিতার কথা জানতে চাইলে পল্টন কর্মকার বলেন, নাম নিয়েছে এখনো কিছু পাইনি,তবে শুনেছি হয়তো ১০ বা ২০ কেজি চাউল দিতে পারে।