জমি সংক্রান্ত শত্রুতার জের ধরে বাড়িতে হামলা এবং ৪০ শতাংশ জমির কলাবাগানের কলাগাছ কেটে নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কলাগাছ ছাড়াও অন্যান্য প্রজাতির আরও গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের ।শনিবার (১৬ এপ্রিল) গভীর রাতে বরগুনা পৌরশহরের কেজি স্কুল এলাকায় এঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন একই এলাকার মৃত ওয়াজেদ আলী হওলাদারের ছেলে।অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বরগুনা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ডিকেপি রোড এলাকার এই জমি ক্রয়সূত্রে ১৯৯৯ সাল থেকে ভোগ করে আসছেন স্কুল শিক্ষক আনোয়ার হোসেন। এখানে তিনি পুকুর, বশতঘর ও কলার বাগান করেছেন। তবে এই জমি অন্যায়ভাবে দখল নিতে চায় একই এলাকার কালাম শিকদার, আনসার শিকদার ও দুলাল শিকদার। এনিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হলে স্থানীয় গন্যমান্যরা বিষয়টি সুরহা করার জন্য সালিশের তারিখ দেয়।
এরপর চলতি মাসের ১৫ তারিখ বিষয়টি মীমাংসার জন্য বৈঠকে বসা হয়। তবে প্রতিপক্ষরা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় সালিশের ফোরম্যান জনাব আলহাজ্ব মো: হুমায়ুন কবির চলতি মাসের ২২ তারিখ পরবর্তী বৈঠকের দিন ধার্য করেন। এতে প্রতিপক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়ে পরের দিন শনিবার (১৬ এপ্রিল) গভীর রাতে ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় দুর্বৃত্তরা ৪০ শতাংশ জমির কলাবাগানের কলা গাছ, চাম্বল, রেন্ট্রিসহ অনেক প্রজাতির গাছ কেটে ফেলে।ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন বলেন, এই জমি আমি বহুদিন ধরে ভোগ করে আসছি৷ আমার সম্পূর্ণ বৈধ কাগজপত্র আছে। আমি এখানে বানিজ্যিক ভাবে কলার বাগান করেছিলাম। তবে আমার প্রতিপক্ষরা রাতের অন্ধকারে সব গাছ কেটে ফেলেছে। এতে আমার প্রায় ৩০,০০০ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। তিনি আরো বলেন, স্থানীয় ০৫ নং ওয়ার্ডের কউন্সিলর জাহিদুল করিম বাবু এ বিষয়ে প্রতিপক্ষদের মদদ দিয়ে আসছে। বাবু সদ্য যুবলীগের সহ সভাপতি পদ পেয়েছে। সে পূর্বে বিএনপি’র রাজনীতি করত। তার মত হাইব্রিড নেতার জন্য আওয়ামীলীগের দুর্নাম হয়।ছেলে রুবেল বলেন, আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে আসছি। ১০ নং নলটোনা ইউনিয়নে আমাদের পুরো বংশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আমার ছোট ভাই বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি। এতকিছুর পরে ও বাবু এবং তার দলবল আমাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। বাবুর মত হাইব্রিড নেতারাই আওয়ামীলীগের দুর্নাম করে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সকল উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে ব্যর্থতায় পর্যবশিত করে। আমার এই হামলার দ্রুত বিচার চাই এবং দলীয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।এবিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহম্মদ বলেন, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।