নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলায় সরকারী ভাতাভোগীদের টাকা নিজস্ব হিসাব নম্বরে না গিয়ে অন্যের হিসাব নম্বরে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা সমাজ সেবা অফিস ও নগদ এজেন্টের ভুলের কারণে এমন হওয়ায় ভাতাভোগীরা অবর্ণনীয় দূর্ভোগে পড়েছে।অফিস সুত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় মোট ১৭ হাজার ১৯০ জনের মধ্যে নগদ কোম্পানির ২ হাজার ২শ’ জন সমাজ সেবা অফিসের সংশ্লিষ্ট লোকজন এন্ট্রি দেন। ভুল নম্বরে এন্ট্রি দেওয়ায় করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এ অঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণীর ভাতা নির্ভর সহস্রাধিক সুবিধাভোগী সরকার প্রদত্ত নয় মাসের ভাতার টাকা না পেয়ে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছে।
তাদের অভিযোগ নিজস্ব নগদ একাউন্টের মোবাইল নম্বর ভুল এন্ট্রি দেওয়ায় ভাতার টাকা তাদের মোবাইলে না এসে চলে গেছে অন্যের মোবাইলে। আবার কারও কারও মোবাইলে টাকা ঢোকেই নাই। এ নিয়ে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন ভুক্তভোগীরা জানা গেছে, পূর্বে বইয়ের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করলেও ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে এসব সুবিধাভোগীদের বাংলাদেশ ডাক বিভাগের নগদ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা প্রদানের কার্যক্রম শুরু করে সরকার। এ কার্যক্রমের আওতায় ভাতাভোগীরা নিজ নিজ নগদ অ্যাকাউন্ট নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট অফিসে জমা দেন।
কিন্তু রহস্যজনকভাবে তাদের নগদ একাউন্ট নম্বরে টাকা জমা না হয়ে অন্যের একাউন্টে চলে গেছে। এসব নম্বরে কল দিলে ফোন রিসিভ করছে না কেউ। আবার অনেক নম্বর বন্ধ রয়েছে। এভাবে তিন মাসের স্থলে নয় মাস পরও ভাতা পাচ্ছেন না সুবিধাভোগীরা।ভাতার টাকা না পাওয়ার বিষয়ে মাগুড়া সিঙ্গেরগাড়ি পাড়ের হাট ৭ নং ওয়ার্ডের ফুলতি রাণী জানান, আমি অফিসে গিয়ে এই ০১৭৭৪৭০২২৩২ নগদ একাউন্ট নম্বর জমা দেই। কিন্তু আমার টাকা নাকি এই ০১৭৫১৩৮৮৮০৭ নম্বরে চলে গেছে।
ফুলতি রাণীর মত একই অভিযোগ করেন ওই ওয়ার্ডের আরও ২৭ জনসহ খামার গাড়াগ্রামের মর্জিনা বেগম, উত্তর দুরাকুটি গ্রামের সরকার পাড়ার আবু বক্কর ছিদ্দিক।উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম জানান, উপজেলা সমাজসেবা অফিস ও নগদ মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের ভুলের কারনে এ ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে খুব দ্রুতই এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন জানান, যেসব ভাতাভোগীরা টাকা পায় নাই তাদের তালিকা নগদ এজেন্টের নিকট পাঠানো হয়েছে। এসব ভাতাভোগীরা অবশ্যই টাকা পাবেন, তবে একটু সময় লাগবে।