মুন্সীগঞ্জে গৃহবধূ সহিফা আক্তারের (১৬) মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেছে স্বজনরা। শনিবার ( ১২ ই ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১২টার সময় মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনের প্রধান সড়কে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভ শেষে প্রেসক্লাবের ফটকে মানবন্ধন করে স্বজনরা। মানববন্ধনে স্বজনরা গৃহবধূ সহিফাকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ তুলে বিচারের দাবি জানায়। তথ্য সুত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১০ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাতে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিমের তিল্লাপাড়া এলাকায় স্বামী অপূর্বের বাড়ি থেকে সহিফার মরদেহ উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে নিহত সহিফার মা অপি আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ৬ মাস আগে পরিবারের সবার অমতে সহিফাকে বিয়ে করে অপূর্ব রায়হান অপু। সাংসারিক জীবনে দীর্ঘদিন যাবত স্বামীর নির্যাতন সহ্য করে আসছিল সহিফা। আমার মেয়ে যদি আত্নহত্যা করতো তাহলে যখন ঘটনা ঘটেছে তখন আমাদেরকে তারা জানায় নাই। আমরা রাত ২টা বাজে প্রতিবেশিদের কাছ থেকে শুনে রাত আড়াইটায় দিকে থানায় গিয়ে দেখি আমার মেয়ের লাশ। বখাটে ও নেশাগ্রস্ত স্বামী পরিকল্পিত ভাবেই হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গত ছয় মাস আগে পরিবারের অমতে পালিয়ে বিয়ে করেন সহিফা। তারপর হতে মিরকাদিম পৌরসভার তিল্লাপাড়া গ্রামে স্বামীর বাড়িতে বসবাস করছিলেন সহিফা। নিহত সহিফা মিরকাদিম পৌরসভার টেঙ্গরগ্রামের স্বপন মিয়া মেয়ে ও তিল্লাপাড়া এলাকার অপূর্ব অপুর স্ত্রী।