ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে উপজেলার অবৈধ মাটিখেকোরা। সম্প্রতি কৃষি জমি কেটে পুকুর খনন করায় বেশ কয়েকটি স্থানে ইউএনও কর্তৃক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার প্রতিবাদে উপজেলার এক শ্রেণির মাটিখেকোরা এই বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভকারীরা উপজেলার প্রধান ফটকে দাঁড়িয়ে দুই ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেন। বোয়ালমারী পৌরসভার জনৈক কাউন্সিলর এবং শেখর ইউনিয়ন আ’লীগের এক সাবেক সভাপতি এই বিক্ষোভের ইন্ধনদাতা বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে উপজেলার এক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ উপজেলা পরিষদের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিক্ষোভে ইন্ধনের তৎপরতা ছিল লক্ষ্যনীয়।
জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষি জমি কেটে পুকুর খনন করার অপরাধে সম্প্রতি ইউএনও মো. রেজাউল করিম বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। আদালতে বালুবহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর বিভিন্ন ধারায় বিভিন্ন জনকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেয়া হয়। সেই সাথে অবৈধ কাজে ব্যবহৃত জব্দকৃত ট্রলি এবং ভেকু বিনষ্ট করা হয়। এসব ঘটনায় সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা একটি পক্ষের ইন্ধনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা এগারোটার দিকে প্রথমে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করে। পরে বিক্ষুব্ধরা উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটক আটকে ইউএনও-র বিরুদ্ধে বিভিন্ন আপত্তিকর শ্লোগান দেয়। বিক্ষোভকারীদের অধিকাংশই কৃষি জমির মাটি কেটে পুকুর খননকাজে অংশ নেয়া ভেকুর চালক, মাটি টানার কাজে ব্যবহৃত অবৈধ ট্রলির (খেক্কোর) চালক, হেলপার, ড্রেজার মালিক, ইটের ভাটায় মাটি বিক্রয়কারী এবং নদী খননের সরকারি মাটি অবৈধভাবে বিক্রয়কারীরা।
এ বিক্ষোভে বোয়ালমারী পৌরসভার জনৈক কাউন্সিলর এবং শেখর ইউনিয়ন আ’লীগের এক সাবেক সভাপতির ইন্ধন রয়েছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে উপজেলার এক শিক্ষা কর্মকর্তার উস্কানি ও তৎপরতাও লক্ষ্য করা যায়। পরে বেলা একটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।