চুয়াডাঙ্গায় অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কোনভাবেই তাদেরকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। পূর্বে ঈদকে সামনে রেখে অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেলেও বর্তমানে পশুহাটের দিনগুলোতে তাদের দৌরাত্ম্য ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন অনেকেই।
আর এ ধরনের ঘটনাগুলো বেশিরভাগ ঘটছে চুয়াডাঙ্গা-হাসাদাহ রুটে চলাচলকারী বাসে। বিগত কয়েক মাস ধরে তাদের দৌরাত্ম্য চলমান থাকলেও অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা থেকে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। যার কারণে একই ধরনের ঘটনা বার বার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২০শে জানুয়ারি) অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের কবলে পড়ে জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ বাসস্ট্যান্ডে পড়েছিলেন পাবনা জেলার এক ব্যক্তি৷ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেয়ে নিয়ে যান। এছাড়া গত বৃহস্পতিবার বারেও ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার অপর এক ব্যক্তিও পড়েছিলেন তাদের কবলে। এছাড়া টানা কয়েক সপ্তাহ বৃহস্পতিবারের দিন শিয়ালমারী পশুহাটে গরু ক্রয় করতে আসা ব্যক্তিদের টার্গেট করে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবার।
এছাড়া তাদের কবলে পড়ে অজ্ঞান হওয়া ব্যক্তিরা টাকা-পয়সা খুইয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন। যে কোন মূল্যে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের আটক করতে না পারলে সামনের দিনগুলোতে আরও অনেক ব্যক্তিই তাদের কবলে পড়ে নিঃস্ব হয়ে যাবেন। তাদের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো সচেতনতা, যার বিকল্প কোন কিছু নাই।
সেইসাথে গণপরিবহণে কাছে অধিক পরিমাণ টাকা নিয়ে দূর-দূরান্তে চলাচল না করে গন্তব্যে পৌঁছে ব্যাংক বা অন্য কোন মাধ্যম থেকে টাকা উত্তোলন করাই উত্তম। পাশে বসা অপরিচিত ব্যক্তির সাথে আলাপচারিতা না করাই ভালো। তবে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের লাগাম টেনে ধরতে পুলিশ অত্যন্ত তৎপর রয়েছে।