আজ ৮ ডিসেম্বর নেত্রকোনা বোমা হামলা ট্র্যাজিডি দিবস। জমিয়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) ২০০৫ সালের ৮ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলা শহরের অজহর রোডস্থ উদীচী কার্যালয়ের সামনে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়। বোমা হামলায় আত্মঘাতী কিশোরসহ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খাজা হায়দার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদীপ্তা পাল শেলী, মোটর মেকানিক যাদব দাসসহ ৮ জন নিহত এবং কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে জেএমবি প্রধান শায়খ আব্দুর রহমান, সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাই, সামরিক শাখার প্রধান আতাউর রহমান সানি, জেএমবি কমান্ডার আসাদুজ্জামান, সালাউদ্দ্ধিসঢ়;ন এবং ইউনূসসহ ৮ জনকে আসামী করে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে। ইতিমধ্যে ঢাকা দ্রুত বিচার ট্র্যাইব্যুনাল আদালত- ২ নেত্রকোনায় বোমা হামলা মামলার ৭ আসামীকে ফাঁসি ও বাংলা ভাইয়ের স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণ ও নতুন প্রজন্মের সামনে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দুর্বার প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলার লক্ষ্যে নেত্রকোনার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো সম্মিলিতভাবে প্রতি বছরের ৮ ডিসেম্বর নেত্রকোনা ট্র্যাজিডি দিবস পালন করে আসছে।
এ উপলক্ষ্যে নেত্রকোনা ট্র্যাজিডি দিবস উদযাপন কমিটি দিন ব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচী গ্রহন করেছে। গৃহীত কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে উদীচী কার্যালয়ের সামনে কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারন, সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে অজহর রোডস্থ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল ১০টা ৪০ মিনিট থেকে ১০টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত রাস্তায় যে যেখানে আছে সেখানে ৫ মিনিট নীরবে দাড়িয়ে থেকে ‘স্তব্ধ নেত্রকোনা’ কর্মসূচী পালন, সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে প্রতিবাদী মিছিল, বেলা ১২টায় শহীদদের কবর জিয়ারত ও শহীদ পরিবারবর্গের সাথে সাক্ষাত এবং বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে শহীদ মিনারে সন্ত্রাস, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।