জামালপুরের সরিষাবাড়ী সালেমা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (ভোক) পরীক্ষা কেন্দ্রে রবিবার (২১ নভেম্বর) কক্ষ পরিদর্শকের কাছ থেকে ট্রেড ২য় পত্র বিষয়ের উত্তরপত্র ও খাতা নিয়ে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নাম্বার লিখে বৃত্ত ভরাট করে পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু ১০ মিনিট পর জানতে পারেন তারা বহিষ্কার। তাদের কাছ থেকে উত্তরপত্র ও এডমিট কার্ড নিয়ে নেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, আমরা যথারীতি পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে খাতা নেই এবং বৃত্ত ভরাট করি। পরে আমাদেরকে জানানো হয় গত ১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অসদুপায় করার জন্যে আমাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আমরা কোন অসদুপায় করি নাই। শুধু একটু দেখাদেখি করেছিলাম মাত্র। আমাদেরকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। কান্নাজড়িত কন্ঠে শিক্ষার্থী বর্ষা আক্তার বলেন, বহিষ্কার করা হলে ১৬ তারিখেই নোটিশ দিত তা পাচঁ দিন পরে কেন? ১৬ তারিখে এবিষয়ে কোন নোটিশ দেওয়া হয় নাই। বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের একজন উপজেলার শেখ খলিলুর রহমান ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের (ফুড প্রসেসিং অ্যান্ড প্রিজারভেশন) ট্রেডের শিক্ষার্থী, অন্যজন চর বাঙ্গালী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের (ড্রেস মেকিং) ট্রেডের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিব ও সরিষাবাড়ী সালেমা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদা পারভীন বলেন, পরীক্ষার্থীরা যথা নিয়মে ওরা নোটিশটি পায় নাই বহিষ্কারের যে স্টুডেন্ট দুজন একজন মেয়ে ও একজন ছেলে। ওরা আজকে যথা সময়ে পরীক্ষার হলে আসছিল। ওদেরকে বুঝিয়ে দিয়ে যে সামনে পরীক্ষার প্রিপ্রারেশনের জন্য ই করা হয়েছে। আর এডমিট কার্ড নিয়ে তাদেরকে ভালভাবে বুঝিয়ে হল ত্যাগ করে দেওয়া হয়েছে।