মিঠাপুকুরে চিহ্নিত মাদক কারবারি, হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতিসহ একাধীক মামলার আসামী মহসিন ওরফে বাহাদুর ও তার স্ত্রী সোহাগী বেগমকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ১৪নভেম্বর রোববার দুপুরে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসি।
মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের তালতলা বাজারে দুপুর ১২টা থেকে আধাঘন্টাব্যাপি এ মানবন্ধনে এলাকার শত শত মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান শান্তনুর, হাসান মিয়া, রিপুল মিয়া, মোস্তফা, মনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
তারা বলেন, হামিদপুর গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে মোহসিন ওরফে বাহাদুর একজন কুখ্যাত মাদক সম্রাট। তার বিরুদ্ধে মিঠাপুকুরসহ বিভিন্ন থানায় প্রায় এক ডজন মাদক, হত্যা, অস্ত্র, ছিনতাই ও রোড ডাকাতি মামলা রয়েছে। সে দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে ইয়াবার পাইকারী ব্যবসা চালিয়ে আসছে। তার কাজে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে তার স্ত্রী সোহাগী বেগম। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি জানার পরও তাকে গ্রেপ্তার করছেনা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া হাসান ও রিপুল মিয়া জানান, কেউ বাহাদুরের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায়না। পুলিশকে খবর দিলে উল্টো মাদকের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হয়। স্বামী-স্ত্রীর ইয়াবা ব্যবসার কারণে এলাকায় তরুণ-যুব সমাজ বিপদগামী হচ্ছে। একই কথা বলেন ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান শান্তনুর, মোস্তফা, মনোয়ার হোসেনসহ অনেকে। অবিলম্বে পুলিশ প্রশাসনকে মাদক কারবারি ওই দম্পত্তিসহ তাদের সহযোগীদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এলাকাবাসি জানায়, মহসিন ওরফে বাহাদুরের বিরুদ্ধে উল্লেখ্যযোগ্য মামলার মধ্যে ১৯৯৮ সালে বগুড়ার আদমদীঘিতে ৪ রাউন্ড গুলি, পাইপগান ও দেশিয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জ থানায় দুইটি হত্যা মামলা রয়েছে। এছাড়াও, বালুয়া মাসিমপুরে ডা: বাবুল হত্যা মামলার প্রধান আসামী ছিলেন বাহাদুর।
অভিযুক্ত মহসিন ওরফে বাহাদুর ও তার স্ত্রী সোহাগী বেগম এসব উথ্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজী হননি। মিঠাপুকুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন বলেন, পূর্বে সে মাদক কারবারসব বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিল। এখন তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। এ ব্যাপারে রংপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (ডি সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান বলেন, বাহাদুরের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট না থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে, সে গোয়েন্দা নজরদারিতে আছে।