ফরিদপুরের সালথায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মারিজ সিকদার (৩১) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মারিজ সিকদার খারদিয়া গ্রামের শরাফ সিকদারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ১৮ অক্টোবর ইউপি নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রব মোল্যা মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তার বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন আওয়ামী লীগকর্মী মাতবর মো. রফিক মোল্যা।
ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা টুকু ঠাকুর নৌকার মনোনীত প্রার্থী রব মোল্যার পক্ষে অবস্থান নেন। এ নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকের সঙ্গে তার বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার সকালে এর জেরে খারদিয়া এলাকায় উভয় প্রার্থীর সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড়ো হতে থাকে। একপর্যায় দুপুর ২টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে। এসময় কমপক্ষে ৪০টি বসতঘরে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
সংঘর্ষে মারিজ সিকদার, নাসির মোল্যা, রহিম মোল্লা, রশিদ শেখ, সাকির মোল্যা ও টেপু শেখসহ উভয় প্রার্থীর অন্তত ৩০ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারিজ সিকদার মারা যান।
ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা সার্কেল) সুমিনুর রহমান জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।