রাজশাহীতে কলেজছাত্র রাজু আহমেদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পাঁজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়ে রাজশাহী দ্রুত ট্রাইবুনাল আদালত।আদালতে মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৯ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতের এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-রাজশাহী নগরীর দড়িখড়বোনা এলাকার আজিজুর রহমান ওরফে রাজন,সাজ্জাদ হোসেন ওরফে সাজু,মোঃ রিংকু ওরফে বয়া,দুর্গাপুর উপজেলার ব্রম্ভপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেন ও বাগমারা উপজেলার মাদারীগঞ্জ গ্রামের মাহাবুর রশীদ ওরফে রেন্টু।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান,রাজু আহমেদের রেন্টুর সাথে জমি জায়গা নিয়ে ঝামেলা চলছিলো।এর আগে রেন্টু রাজুর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে।সেটি না দিতে পারায় রাজুর জুয়েলার্সের দোকান ভাঙচুর করে।এসময় রাজু রাজশাহী শহরে পালিয়ে চলে আসে।
২০২১০ সালের ১৫ মার্চ সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরের নিউমার্কেট এলাকায় আসামিরা তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন।এর আগে আসামি রেন্টু রাজুকে হত্যা করার জন্য শহর থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে চারজন কিলারকে ভাড়া করে।জানা গেছে,২০১০ সালের ১৫ মার্চ সন্ধ্যায় নগরীর নিউ মার্কেট এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুিরকাঘাতে কলেজছাত্র রাজু আহম্মেদ খুন হন।
রাজু জেলার দুর্গাপুরের দাওকান্দি ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।তার বাড়ি বাগমারা উপজেলার হাসনিপুর গ্রামে।রাজু নগরীর মন্নাফের মোড় এলাকায় এক বন্ধুর সঙ্গে মেসে থাকতেন।ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর তিনি তার কম্পিউটার সারাতে নিউমার্কেটে আসেন।
এসময় রাজু নিউ মার্কেটের পশ্চিম প্রান্তে ভাই ভাই হোটেল-এর পেছনে এলে অজ্ঞাত পরিচয়ের দুর্বৃত্তরা তাকে ঘিরে ধরে পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।গুরুতর আহত রাজুকে স্থানীয়রা দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ৯ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।এ ঘটনায় রাজুর পিতা এরশাদ আলী বাদি হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে বোয়ালিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।