কুমিল্লায় কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেকেই। পানির দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর চামড়া। তাই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি না করে প্রতিবাদ হিসেবে মাটির গর্তে পুতে ফেলতে দেখা গেছে অনেককে। অনেকে আবার দান করে দিচ্ছেন এতিম খানায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি বছর কোরবানির চামড়া কিনতে সকাল ৯টার পর থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা দাম করে অগ্রিম টাকা দিয়ে আসতেন। বিকেল নাগাদ চামড়া সংগ্রহ করতেন তারা।এবার দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। অন্যবারের মতো ব্যবসায়ীদের দৌড়ঝাঁপ দেখা যাচ্ছে না। চামড়ার দর পড়ে যাওয়ায় এখন আর ক্রেতার দেখা মিলছে না। ফলে মানুষ বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
সাধারণ মানুষের দাবি, চামড়া শিল্পের প্রতি সরকার বিশেষ নজর না দিলে দেশের এ শিল্প অছিরেই ধ্বংস হয়ে যাবে।কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ১৯ওয়ার্ডের হাবিবুর রহমানের ছেলে মজিবুর রহমান বলেন,১লাখ ৪৫ হাজার টাকার গরুর চামড়া দাম মাত্র ১৫০ টাকা দাম বলছে। তাও আবার বাজারে দিয়ে আসতে হবে।তাই এতিম খানায় দান করে দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন,কোরবানির পশুর চামড়ায় গরীব অসহায়দের হক। সেই হক মেরে কেউ কোটিপতি হচ্ছে আর কেউ লোক দেখানো ধান্ধাবাজি করে বেড়াচ্ছে। তাই আমাদের এ প্রতিবাদ।চৌদ্দগ্রাম থেকে মেহেদী হাসান নামে এক ব্যক্তি বলেন,এলাকায় চামড়া ব্যবসায়ীদের দেখা যাচ্ছে না। তাই গ্রামের একটি মাদরাসায় দান করে দিয়েছি।
অথচ বছর তিনেক আগেও গরুর চামড়া এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। আর খাসির চামড়া ৪০০ টাকা পর্যন্ত কেনাবেচা হয়েছে। এখন বড় একটি গরুর চামড়া বিক্রি করেও সে সময়ের খাসির চামড়ার টাকা মিলছে না।