আনোয়ারা উপজেলায় পুরোদমে চলছে কুরবানির পশুর চামড়ায় লবন মাখানোর কাজ। গতকাল সারাদিন গ্রাম আর বিভিন্ন এতিমখানা থেকে চামড়া সংগ্রহ করে গত রাত থেকেই শ্রমিকরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে এই কাজে।
বৃহস্পতিবার (২২ শে জুলাই) উপজেলার চাতরী চৌমুহনী, বটতলী এবং মালঘর বাজারসহ বিভিন্ন হাট বাজার এবং চামড়ার গুদাম ঘুরে দেখা যায়,বিভিন্ন জায়গা থেকে আনা কুরবানির পশুর চামড়া পরিস্কার করে সেগুলোতে হাতে লবন মাখিয়ে স্তুপ করে রাখতে ব্যস্ত সময় পার করছে শ্রমিকরা।
এসময় ফয়সাল নামের এক শ্রমিকের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কাল সন্ধা থেকে সারা রাত ধরে চামড়া সংরক্ষণ করতে চামড়ায় লবন মাখানোর কাজ চলছে। তিনি আরো জানান,কাঁচা চামড়া সংরক্ষণের আসল উপকরণ হচ্ছে লবন। মাঝারি আকারের একটি গরুর কাচা চামড়ায় ৮ থেকে ৯ কেজি লবণ লাগে। এছাড়া আরও অনেক ধরনের কেমিক্যাল প্রয়োজন হয়।
সেগুলো দিয়ে চামড়া প্রক্রিয়াজাত করে গরুর চামড়া সর্বোচ্চ ৩ মাস, ছাগলের চামড়া ১৫ দিন, ভেড়ার চামড়া ৭ দিন সংরক্ষণ করা যায়। এরপর এই লবণ দেওয়া চামড়াতেই আবার পচন ধরা শুরু হয়।
আহমদ কবির নামের এক মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী বলেন, এবার চামড়ার দাম অনেক কম। বড় চামড়া তেমন নেই বললেই চলে। সব মাঝারি আর ছোট চামড়া। তিনি আরো বলেন, কাঁচা অবস্থায় গরু জবাইয়ের ১০ ঘণ্টা, খাসির ক্ষেত্রে ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার মধ্যেই চামড়ায় লবণ দিতে হবে। অন্যথায় চামড়া পচবে। আবার লবণ দিয়েই যেমন চামড়া সংরক্ষণ করা হয় আবার মেয়াদ শেষ হলে এই লবণই চামড়া খায়। তখন পচন ধরে যায় চামড়াতে।
উল্লেখ্য যে,এবার লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরু বা মহিষের চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকায় ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, গত বছর এই দাম ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। এবং ঢাকার বাইরে ৩৩ টাকা থেকে ৩৭ টাকা,গতবছর যা ২৮ থেকে ৩২ টাকা ছিল।
এছাড়া সারা দেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৫ থেকে ১৭ টাকা, আর বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।গতবছর খাসির চামড়া ১৩ থেকে ১৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ১০ থেকে ১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিলো।