শরণখোলা মাতৃভাষা ডিগ্রী কলেজে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরের অভিযোগ একটি মহলের ষড়যন্ত্র বলে দাবী করেছেন অধ্যক্ষ মোঃ কামরুল ইসলাম মোল্লা (চলতি দায়িত্বে)। শনিবার (২৪ জুলাই) দুপুর ১২ টায় শরণখোলা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ দাবী করেন তিনি।
এসময় তার সাথে ওই কলেজের শিক্ষক পরিষদের নের্তৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, মূলতঃ কলেজের অফিস সহকারী রেজাউল ইসলাম নান্নু নিয়মিত অফিস না করে আয় -ব্যয় হিসাব খাতা পত্রে না লিখে বিভিন্ন ভাবে আত্মসাৎ করেন। এরপর তিনি দায়িত্ব নিয়ে আয়-ব্যয় হিসাব লিপিবদ্ধ এবং অর্থ ব্যাংক হিসাবে জমা করায় আত্মসাতের সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। যার কারনে কর্মচারী আফজালকে ব্যবহার করে ২০০১ সালের ছবি ভাংচুরের কাহিনী সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন।
তবে বর্তমানে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুরাতন ছবি অসম্মান জনকভাবে জানালার পর্দার পাইপের সাথে ঝুলিয়ে রাখার বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কামরুল ইসলাম বলেন, অধ্যক্ষ্যের কার্যলয় পরিবর্তন করার কারনে বঙ্গবন্ধু ও প্রধান মন্ত্রীর ছবি দুটি যথাযথভাবে প্রর্দশনের জন্য অফিস সহকারী রেজাউল ইসলাম নান্নুকে দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু সে দায়িত্ব পালন না করে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন। তবে বর্তমানে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি অধ্যক্ষের কক্ষে স্বযত্নে রক্ষিত আছে।
জ্যেষ্ঠতা লঙ্গন করে অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ কামরুল ইসলাম জানান, করোনা মহামারির কারনে কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করা যায়নি। তবে যেহেতু অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম অবসরে যাবেন তাই পূর্বের জ্যেষ্ঠ্য শিক্ষক চন্দন কুমার কবুলাশী দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করায় শিক্ষক পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তিনি চলতি দায়িত্ব গ্রহন করেছেন। এছাড়া তার জামায়াতের রাজনীতির সাথে কোন সম্পৃক্ততা নেই তবে ছাত্র জীবনে ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে তিনি স্বীকার করেন।
সংবাদ সম্মেলনে চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও শিক্ষক নের্তৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধু ও প্রধান মন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের আসল রহস্য উৎঘাটনের দাবী জানান।এব্যপারে শরণখোলা মাতৃভাষা ডিগ্রী কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুল হক হায়দার বলেন, ছবি ভাংচুরের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া করোনা মহামারি কিছুটা কমে আসলে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়ে পুর্নাঙ্গ অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।