লাকসাম-নাঙ্গলকোট-চৌদ্দগ্রাম চিওড়া সড়কের কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসভার কোদালিয়া নামক স্থানে মৎস্য প্রজেক্টের কারণে সড়কে বড় ধরণের ফাটল ধরে কিছু অংশ পাশ্ববর্তী পুকুরে ধ্বসে পড়ে যানবাহন চলাচল ও জনসাধারণের যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যে কোন সময় এখানে দুর্ঘটনা ঘটে ব্যাপক প্রাণহানীর ঘটনা ঘটতে পারে। সরজমিনে দেখা যায়, লাকসাম-নাঙ্গলকোট-চৌদ্দগ্রামের চিওড়া (ঢাকা-চট্রগ্রাম বিশ্বরোড সংযোগ) সড়কটি নাঙ্গলকোট উপজেলার প্রধান একটি আঞ্চলিক সড়ক। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে শত শত হালকা ও ভারী যানবাহন চলাচল করে।
এটি দিয়ে নাঙ্গলকোট উপজেলাবাসীসহ পাশ্ববর্তী বিভিন্ন অঞ্চলের জনসাধারণ ঢাকা- চট্রগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। এছাড়া নাঙ্গলকোটের দক্ষিণাঞ্চলের জনগণ সড়কটি দিয়ে নিয়মিত য়াতায়াত করেন। জনগুরুত্বপুর্ণ ও ব্যস্ততম সড়কের নাঙ্গলকোট পৌর সদরের কোদালিয়া নামক স্থানে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের উত্তর পাশে বড় ধরণের ফাটল ধরে সড়কের কিছু অংশ পুকুরে ধ্বসে পড়ে গেছে। গত ১৫ দিন পূর্বে সড়কটি ধ্বসে পড়লেও সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর গতকাল বুধবার পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ফলে ছোট-বড় যানবাহনকে ঝুুঁকি নিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করতে হচ্ছে।
জরুরী ভিত্তিতে এটি মেরামত করা না হলে সড়কের পুরো অংশ ধ্বসে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। স্থানীয় আব্দুল আলীম বলেন-কিছুদিন আগে মৎস্য প্রজেক্ট থেকে পানি সরিয়ে ফেলার পর সড়কটির ভাঙ্গন দেখা দেয়। সিএনজি চালক আব্দুর রশিদ বলেন, সড়কটি উপজেলার একটি প্রধান সড়ক। এ সড়ক দিয়ে গুরুত্বপুর্ণ ব্যক্তিরা সহ সকল পেশার মানুষ চলাচল করেন। সড়কটি কিছু অংশ ভেঙ্গে পুকুরে পড়ে গেছে।
জরুরী মেরামত করা না হলে পুরোটাই ভেঙ্গে যাবে। অটোরিকশা চালক মজিদ বলেন-ঝুঁকি নিয়ে এখন গাড়ী চালাতে হচ্ছে জীবিকার প্রয়োজনে। যে ভাবে রাস্তা ভাঙ্গনের অংশ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি মেরামতের দাবীও জানান। এ বিষয়ে সওজ লাকসাম আঞ্চলিক অফিসের উপ-সহকারি প্রকৌশলী আজিম উদ্দিন বলেন, সড়ক ধ্বসে পড়ার খবর পেয়েছি। কয়েক দিনের মধ্যে ফাটল স্থান মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।