করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমার কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিভিন্ন বিভাগ তাদের স্থগিত পরীক্ষাগুালো নেওয়া শুরু করেছে।আবার বিভিন্ন বিভাগে ফরম পূরণের কাজ শুরু হয়েছে।এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদেরকে অনলাইনে ফরম পূরণ করে বিভাগের সভাপতি ও হল প্রাধ্যক্ষের স্বাক্ষর নিয়ে ব্যাংকে গিয়ে নির্ধারিত পরিমাণ ফি জমা দিতে হচ্ছে।প্রায় সকল বিভাগে একসঙ্গে ফরম পূরণ চলায় ব্যাংকে টাকা ফি জমা দিতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা।
মাত্র তিনটি বুথে টাকা জমা নেওয়া হচ্ছে।এতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকে ব্যাংকে ফি জমা দিতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা।শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ফি অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নেওয়া হোক।তবে প্রশাসন বলছে-শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে তারা ব্যবস্থা নেবেন।
সোমবার বেলা ১১টায় সরেজমিন দেখা যায়,অগ্রণী ব্যাংকের বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় ফরম পূরণের টাকা জমা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ সারি।শিক্ষার্থীদের দুইটি সারি ব্যাংকের বাইরে সুবর্ণজয়ন্তী টাওয়ার পর্যন্ত দীর্ঘ।ব্যাংকের ভেতরে ছাত্রীদের আরেকটি দীর্ঘ সারি।ব্যাংকের তিনটি বুথে টাকা জমা হলেও সেটি শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির তুলনায় অপ্রতুল।
ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী প্রণব কুমার বলেন,দীর্ঘ দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও টাকা জমা দিতে পারিনি।আরও কত সময় লাইনে থাকতে হয় ঠিক নেই।আমি একা নই সবাইকে এই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শাহাবুদ্দিন ইসলাম বলেন,অনলাইনে ফরম পূরণ করে আজ কেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টাকা জমা দিতে হবে? আর কেনই বা বারবার ডিপার্টমেন্ট থেকে ব্যাংকে যাওয়া আসা করতে হবে ?
শিক্ষার্থীদের এমন ভোগান্তি কি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চোখে পড়ে না ?অগ্রণী ব্যাংক রাবি শাখার সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক বজলুর রশিদ বলেন,শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর করার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।একসাথে অনেকগুলো বিভাগের ফরম পূরণ শুরু হওয়ায় সমস্যা হয়েছে।আগে দুটি বুথে টাকা জমা নেয়া হলেও এখন আমরা তিনটি বুথে টাকা নিচ্ছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর লিয়াকত আলী বলেন,শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি নিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি।ব্যাংকের বুথ বাড়ানোর পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা জমা নেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোন রকম ভোগান্তি ছাড়াই শিক্ষার্থীরা যেন টাকা জমা দিতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সে ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে।