রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও’র গাড়ির ড্রাইভার মোস্তাকিমের বিরুদ্ধে নৈশপ্রহরীর তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।এ ব্যাপারে (টিএইচও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।অভিযোগ সূত্রে জানাযায়,ভুক্তভোগী শিশুর বাবা নৈশপ্রহরী মোবারক আলী অভিযোগে লিখেছেন,আমি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়াটারে সপরিবারে বসবাস করি।এবং অভিযুক্ত,মোঃ মোস্তাকিম আউটসোর্সিং ড্রাইভার,পাশের ইউনিটে বসবাস করে।
পূর্ব থেকেই আমার মেয়ে জুলেখা(ছদ্মনাম) মোস্তাকিমকে চাচা বলে ডাকতো।গত ২৫/০৮/২০২১ তারিখে সন্ধ্যা ৭.১০ মিনিটে আমার মেয়ে জুলেখা ( ছদ্মনাম) মোস্তকিমের স্ত্রী নিকিতাকে ডাকতে যায়।কিন্তু সে বাড়িতে ছিলোনা।অভিযুক্ত মোস্তাকিম সুকৌশলে ফাঁকা রুমে তাকে ডেকে নিয়ে আমার মেয়ের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে জোর করে চুম্বন করে ধর্ষণ করার চেষ্টা করতে থাকে আমার মেয়ে চিৎকার করে ওর মাকে ডাকলে সে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইলে মুস্তাকিমের রুম থেকে মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বের হয় পরক্ষণেই তার সাথে ঘটা সবকিছু খুলে বলে।
ভুক্তভোগী পিতা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নৈশপ্রহরী মোবারক আলী জানান,অভিযোগে আমি সকল কিছুই বর্ণনা করেছি।আমার ছোট মেয়ের সরলতার সুযোগে এমন জঘন্য কাজ করেছে।অভিযোগ তুলতে ও মামলা না করতে বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।এই লম্পটের সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারী জানান,এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে যা কারোই কাম্য নয়।তার চরিত্রে পূর্ব থেকেই সমস্যা ছিলো এমনটি আমরা শুনেছি।অভিযুক্ত লম্পট মোস্তাকিমের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি।এবিষয়ে অভিযুক্ত মোস্তাকিম মুঠোফোনে জানান,আমার বিরুদ্ধে সবকিছুই ষড়যন্ত্র কিন্তু ষড়যন্ত্র হওয়ার উপযুক্ত কারণ বর্ণনা করতে পারেনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডাঃ মাহবুবা খাতুন জানান,লিখিত অভিযোগ পেয়েছি উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।