মুন্সীগঞ্জে স্বর্ণ চুরির অভিযোগে মধ্যযোগীয় কায়দায় মুরাদ হোসেন রনি (৩৫) নামে এক যুবককে নির্যাতন করেছে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আওলাদ হোসেন সরকার এমন ভিডিও ভাইরাল হয়। গতকাল ১২ই জুলাই সোমবার সকালে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার দক্ষিণ ইসলামপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়দের তথ্য সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ ইসলামপুর এলাকার স্থানীয় মনির হোসেনের বাড়ি থেকে ৪ ভরি স্বর্ণ ও ২২ হাজার টাকা চুরি হয়। ওই ঘটনায় সোমবার সকালে চুরির অপবাদে মনিরের প্রতিবেশী রনিকে বাড়ি থেকে ধরে আনেন কাউন্সিলর আওলাদ হোসেনসহ মনির হোসেন ও তার ভাই কালাই। পরে মনিরের বাড়ির উঠানে রনিকে হাত-পা বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করেন কাউন্সিলর আওলাদ হোসেন। তবে মারধরের পরও চুরির বিষয়ে অস্বীকার করেন রনি। পরে রনির ছোটভাই থানা থেকে পুলিশ নিয়ে আসলে পুলিশের কাছে কাছে রনিকে সোপর্দ করেন মারধরকারীরা।
এ বিষয়ে নির্যাতনের শিকার রনি জানায়, ‘সকালে বাসায় আইসা কাউন্সিলর আওলাদ জিজ্ঞাসার কথা বলে আমাকে মনিরদের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে আমারে হাত-পায়ে বান দিয়া মারে আর বলে চুরির কথা স্বীকার করতে। আমিতো স্বর্ণ নেই নাই, আমি কেন স্বীকার করুম? আমারে শুধু শুধু মারধর করছে, আমি এর বিচার চাই।থ
এ ঘটনায় কাউন্সিলর আওলাদ হোসেন জানান, ‘আমি রনিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসিনি। মনিরদের বাড়িতে তাকে বেঁধে রাখা হয়েছিল। । মারধরের অধিকার আমার নেই, আমি অনুতপ্ত।থ সে যে চুরি করেছে প্রমাণ পেয়েছেন, এমন প্রশ্নে কাউন্সিলর বলেন, ‘না, চুরির প্রমাণ পাইনি।
তিনি আরো জানান, বিষয়টি আমার ভুল হয়েছে। এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, মারধরের ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে। কালাই ও মনির নামের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী মুরাদ হোসেন রনি ইসলামপুর এলাকার মোরশেদ হোসেনর ছেলে।