মুন্সীগঞ্জে বালু ভরাট কেন্দ্র করে ভাতিজার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বড় ভাই সহ ৪ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬শে আগষ্ট) বিকালে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন ছোটপাড়া গ্রামে বাড়ির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে আপন ভাই ভাতিজার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।এ বিষয়ে আহত জামালের স্ত্রী মাহেলা বেগম বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকালে গজারিয়ার ছোটপাড়া গ্রামে বড় ভাই জামালের বারিন্দা ঘরে বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আরেক ভাই ইব্রাহিমের ছেলে ইয়ানবী ধারালো অস্ত্র দিয়ে চাচা জামালের উপর একাধিকবার আঘাত করে । আরেক ভাই সোহেল এগিয়ে আসলে ইয়ানবীর বাবা ভাই ইব্রাহিম লাঠি দিয়ে ভাই সোহেল কে ও জামালের স্ত্রী মাহেলা বেগম এবং মেয়েসহ ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় জামাল কে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পরে হামলাকারীর আপন ছোট ভাই ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা হামলাকারী ভাই ও ভাতিজা কে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
আহত জামালের স্ত্রী মাহেলা বেগম জানান, ঘরে বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দেবর ইব্রাহিমের ছেলে ইয়ানবী ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার স্বামী জামালের উপর হামলা করে । দেবর সোহেল এগিয়ে আসলে ইব্রাহিম লাঠি দিয়ে দেবর সোহেল ও আমাকে আমার মেয়েসহ ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে।আহত জামালের আরেক ছোট ভাই জামান জানান, ইব্রাহিম আমাদেরই ওয়ারিশদের অংশ কিনে। তার মালিকানা নিয়ে বিরোধ থাকায় বালু ভরাট কে কেন্দ্র করে ইব্রাহিমের ছেলে ইয়া নবী অতর্কিতভাবে জামাল ভাইয়ের উপর হামলা চালায়।
ভাই জামালকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে। ভাতিজা ইয়া নবী, ইব্রাহিম এর ছেলে এবং স্ত্রী তারা সবাই মিলে আমার বড় ভাই জামাল এর উপর হামলা করা শেষে ছোট ভাই সোহেল ভাতিজি এবং জামাল ভাইয়ের স্ত্রী মাহেলা বেগম কে মারধর করেছে। সংবাদ পেয়ে চাকরির কর্মস্থল থেকে বাড়িতে এসে ইব্রাহিম এবং ভাতিজাসহ দুই জনকে আমি ঘরে আটক রেখে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে দেই।গজারিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মো. রইছ উদ্দিন জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে মারামারির অভিযোগে দুই জনকে আটক করা হয়েছে।